সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বৃহস্পতিবার বলেছেন, এই প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর 'সূর্যঘরঃ বিনামূল্যে বিদ্যুৎ যোজনা'র অন্তর্গত। তাতেই ৭৫.০২১ কোটি টাকা ব্যায়ে ৩০০ পরিবারের কাছে এই প্রকল্পের সুবিধেগুলি পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিকল্প শক্তির চাহিদা ক্রমশই বাড়ছে। এই অবস্থায় কেন্দ্র সরকার দেশের সাধারণ নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের বাড়ির ছাদে সোলার সিস্টেম স্থাপনের জন্য ৭৮০০০ থেকে ১ কোটি পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের জন্য আর্থিক সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারে মাসে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্য বিদ্যুৎ পাবে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই সৌর প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বৃহস্পতিবার বলেছেন, এই প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর 'সূর্যঘরঃ বিনামূল্যে বিদ্যুৎ যোজনা'র অন্তর্গত। তাতেই ৭৫.০২১ কোটি টাকা ব্যায়ে ৩০০ পরিবারের কাছে এই প্রকল্পের সুবিধেগুলি পৌঁছে দেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়িতে সৌর শক্তির উৎপাদনকে উৎসাহিত করা হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একসঙ্গে ১৭ লক্ষ মানুষের সরাসরি কর্মসংস্থানেরও সুযোগ করে দেওয়া যাবে।
প্রকল্পের অধীনে যে কোনও বাড়ির ছাদে সোলার সিস্টেম ইন্টলেশনের জন্য কেন্দ্রীয় আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে। একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে ২ কিলোওয়াট সিস্টেমের জন্য সিস্টেম খরচের ৬০ শতাংশ দেওয়া হবে। ২-৩ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সিস্টেমগুলির জন্য অতিরিক্ত খরচের ৪০ শতাংশ দেওয়া হবে। CFA ৩ কিলোওয়াট এ সীমাবদ্ধ করা হবে।
CAA: ভোটের আগেই কি চালু হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন? কেন্দ্রীয় পোর্টালের পরীক্ষা তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে
বর্তনমান বেঞ্চমার্ক অনুযায়ী এক মূল্য হবে ১ কিলোওয়াট সিস্টেমের জন্য ৩০ হাজার টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে। সেখানে ২ কিলোওয়াটের জন্য ভর্তুকি দেওয়া হবে ৬০ হাজার টাকা। ৩ কিলোওয়াটের জন্য ভর্তুকি দেওয়া হবে ৭৮ হাজার বা তারও বেশি টাকা। সরকার আরও বলেছেন সংশ্লি্ট পরিবারগুলি বিদ্যুৎ বিল সংরক্ষণ করতে পারেন। পাশাপাশি উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ বিক্রির মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আয় করতেও পারবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে তিন কিলোওয়াট বিদ্যুতের সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩০০ ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। একটি পরিবারের গড়ে ২৫০-৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ লাগে। কোনও কোনও পরিবারের বিদ্যুৎ খরচ আরও কম।
সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে একটি ছাদে ৩ কিলোওয়াট প্ল্যান্টের জন্য আনুমানিক ১.৪৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে। যারমধ্য়ে সরকার ভর্তুকি হিসেবে দেবে ৭৮ হাজার টাকা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেছেন, একজন ভোক্তা প্রতিমাসে ১.৮৭৫ টাকা খরচ করে বলে যদি ধরে নেওয়া হয় তাহলে ইএমআই দিতে হবে ৬১০ টাকা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ১.২৬৫ সাশ্রয় করতে পারবে। কারণ সেই ব্যক্তিকে কেনও বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে না। এক কোটি টাকা যারা খরচ করবে তারা মাসে ১৫ হাজার টাকা সঞ্চয় করতে পারবে।
Paytm: পেটিএম থেকে সরে গেলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বিজয় শেখর শর্মা, নতুন বোর্ডে যোগ দেবেন আরও চার