সংক্ষিপ্ত

  • উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত বিধায়ক কে দল থেকে বহিষ্কার করল বিজেপি
  • বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য বিজেপি
  • উন্নাও-এর ধর্ষিতার গাড়ি দুর্ঘটনার পিছনে কুলদীপ সিং সেঙ্গারের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ 
  • ঘটনার পরই  তোলপাড় পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে 
     

দেশজোড়া ক্ষোভের মুখে পড়ে অবশেষে উন্নাও কাণ্ডে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গারকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল বিজেপি। বুধবারই বিজেপির জানিয়েছিল কুলদীপ সেঙ্গারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু গণধর্ষিতার উপর আক্রমণের ঘটনা নিয়ে সংসদের বাদল অধিবেশনে সম্মিলিতভাবে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ে বিজেপি। বিরোধীদের দাবী করেছিল সাসপেন্ড করলেই হবে না, 'বেটি বাঁচাও' এর স্লোগান তোলা বিজেপিকে অবিলম্বে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে কুলদীপ সেঙ্গারকে। 

বৃহস্পতিবার অবশেষে উত্তরপ্রদেশ বিজেপি জানিয়েছে সমস্ত দলীয় পদ থেকেই বহিষ্কার করা হয়েছে কুলদীপ সেঙ্গারকে। প্রসঙ্গত উন্নাও গণধর্ষণ কাণ্ডে ২০১৮ সাল থেকেই জেলবন্দী রয়েছেন কুলদীপ সেঙ্গার। অভিযোগ জেলে বন্দী থাকা অবস্থায় তিনি লোক মারফৎ প্রাণঘাতী 'দুর্ঘটনাটি' ঘটিয়েছেন। 
   
সারাদেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল উন্নাও গণধর্ষণ মামলা। গত ২০ জুলাই কারাগারে থাকা কাকার সঙ্গে সাক্ষাদের উদ্দেশ্যে কয়েকজন আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে থেকে লখনউ আসছিলেন ধর্ষিতা। পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়িটিষ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ট্রাকের সঙ্গে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ধর্ষিতার দুই আত্মীয়। ধর্ষিতা নিজেও গুরুতর জখম হন। একই অবস্থা তাঁর আইনজীবীরও। ঘটনার পরেই নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, মামলা তুলে না নেওয়ার আক্রোশেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটিয়েছেন কুলদীপ সেঙ্গারের সাঙ্গপাঙ্গরা। আপাতত উত্তরপ্রদেশ পুলিশের  থেকে মামলার তদন্তভার হস্তান্তরিত করা হয়েছে সিবিআই এর হাতে। সিবিআই এর করা এফআইআরেও নাম রয়েছে কুলদীপ সেঙ্গারের। এই পরিস্থিতিতে তাকে দল থেকে ছেঁটে ফেলা ছাড়া গতি ছিল না বিজেপির সামনে। 
  
দুর্ঘটনা ঘটার কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের  প্রধান বিচারপতিকে এক চিঠি লেখেন নির্যাতিতার মা এবং বোন। সেখানে তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন প্রতিদিনই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁদেরকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। গত ১৫ জুলাই নির্যাতিতার আইনজীবী স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে আত্মরক্ষার জন্য বন্দুক রাখার লাইসেন্স চেয়েছিলেন। তাঁর ওপর প্রাণঘাতী আঘাত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। অভিযোগ, তার পরেও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।