সংক্ষিপ্ত
আজ্ঞাতপরিচয় লাসের পরিচয় পেল উত্তর প্রদেশ পুলিশ। শনিবার যমুনা এক্সপ্রেস ওয়ে থেকে উদ্ধার হয়েছিল লাল স্যুটকেসে ভরা মৃতদেহ। খুনের অভিযোগ বাবা মাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
ভিন্ন বর্ণে বিয়ে করতে চেয়েছিল মেয়ে- এটাই ছিল ২২ বছরের মেয়েটির অভিযোগ। আর সেই কারণেই মেয়েকে গুলি করে হত্যা করে দেহ একটি স্যুটকেসে ভরে সেটি যমুনা এক্সপ্রেস ওয়েতে ফেলে দিয়েছিল পরিবার। গত সপ্তাহেই বেওয়ারিশ সুটকেশটি উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তারপর স্যুটকেসের মালিকের সন্ধানে শুরু করেছিল তল্লাশি। অন্যদিকে স্যুটকেস খুলতেই উদ্ধার হয়েছিল একটি বছর ২২এর তরুণীর নিথর রক্তাক্ত দেহ। সেই ঘটনার তদন্তে এতদিনে কিছুটা হলেও আলো দেখতে পেল পুলিশ।
মথুরার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, আয়ুশি চৌধুরী হল নিহত ২২ বছরের মেয়ে। যার দেহ উদ্ধার হয়েছিল সুটকেসে। তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। খুনের অভিযোগে বাবা নীতেশ যাদব ও মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মেয়ের আচরণে সর্বদাই অস্বস্তিতে থাকত বাবা। মেয়ে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকত। অনেক রাত করে বাড়ি ফিরত। আর তাই নিয়ে মেয়ের সঙ্গে বাবা ও মায়ের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি নেয়ে নিজের সম্প্রদায়ের বাইরে গিয়ে অন্য সম্প্রদায়ের ছেলেকে বিয়ে করেছিল। এই কথা পরিবারের কাছে প্রথমে লুকিয়ে গিয়েছিল। পরে বাড়িতে জানাজানি হয়। তাতেই বাবার মেজাজ সপ্তমে চড়ে। সেই সময়ই বাবা নীতেশ যাদব মেয়ে আয়ুশীকে গুলি করে হত্যা করেছিল।
উত্তর প্রদেশ পুলিশ আরও জানিয়েছিল,স্যুটকেসটি উদ্ধার হওয়ার পরেই অজ্ঞাত মৃতদেহ সম্পর্কে তল্লাশি শুরু করে। স্যোশাল মিডিয়ায় মেয়েটির ছবি মিলিয়ে নাম ও ঠিকানা জানার চেষ্টা করে। মহিলার পরিচয় জানতে দিল্লিতেও পোস্টার লাগায়। তারপরই মহিলার সম্পর্কে কিছু কিছু তথ্য হাতে আসে। এই অবস্থায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখ। রবিবারই একটি আজ্ঞাতপরিচয় ফোন আসে উত্তর প্রদেশের পুলিশের কার্যালয়। সেখান থেকেই মহিলার পরিচয় জানতে পারে পুলিশ।
তারপরই নিহতের মা ও ভাইকে মৃতদেহ সনাক্ত করার জন্য থানায় ডেকে পাঠায়। পরে ডেকে পাঠান হয় পরে থানায় ডেকে পাঠান হয় নিহতের বাবাকে। তিনি দিল্লির বদরপুরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। সেই সময়ই পুলিশ জেরা করতে শুরু করে। জেরায় ভেঙে পড়েন নীতেশ। তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। নীতেশ জানিয়েছে মেয়ে ছত্রপাল নামে এক নিম্নবর্ণের ছেলেকে বিয়ে করেছিল। তাও পরিবারকে না জানিয়ে। আর সেই কারণে সে মেয়েকে হত্যাকরেছিল। তারপরই প্রমাণ লোপাটের জন্য একটি স্যুটকেসে ভরে মেয়ের দেহ যমুনা এক্সপ্রেস ওয়েতে ফেলে দিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে মৃতার সারা দেহে ছিল আঘাতের চিহ্ন। মাথায় আর মুখে ছিল রক্ত।
পুলিশ আরও জানিয়েছেন যাদব পরিবারে আদি বাড়ি উত্তর প্রদেশের গোরখপুরে। চাকরি সূত্রের দিল্লিতে গিয়েছিল নীতিশ। তারপর থেকে সেখানেই থাকে। পরে ব্যবসা শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ
প্রেমিকাকে হত্যা করে দেহ ৬ টুকরো করল প্রেমিক , কাটা মাথার সন্ধানে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি