সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে উত্তর প্রদেশের বিধান সভা ভোট ২০২২ (UP Elections 2022) । প্রথম দফায় ভোট হবে ১১টি জেলার ৫৮টি আসনে (58 Seats)। তার আগে ট্যুইটারে (Twitter) গুরুত্বপূর্ণ বার্চা দিলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।
রাজনীতির কারবারীরা বলেন দিল্লির সিংহাসনে কে বসবে তার অনেকটাই নির্ধারণ করে উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh)। ফলে ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোট যে বিজেপির কাছে 'অ্যাসিড টেস্ট ' তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলায় সর্ব শক্তি দিয়ে ভোট ময়দানে নামার পর যে হতাশাজনক রেজাল্ট হয় পদ্ম শিবিরের। দেশ জুড়ে আলোচনা শুরু হয় তাহলে কী ফিকে হচ্ছে 'মোদী ম্য়াজিক'। এই আবহে উত্তর প্রদেশের ভোট বিজেপির (BJP)কাছে একদিকে যেমন সরকার ধরে রাখার লড়াই একইসঙ্গে ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের যোগ্য জবাব দেওয়ার মঞ্চ। তাই ভোটের আগের দিনও রাজ্য বাসীর উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোট (Uttar Pradesh Assmbly Election 2022) । ৪০৩ আসন বিশিষ্ট উত্তর প্রদেশে প্রথম দফার নির্বাচন হবে ৫৮টি আসনে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ১১ জেলার মধ্যে পড়ে এই আসনগুলি। প্রথম দফায় ভাগ্য নির্রাধিত হবে ৬২৩ জন প্রার্থীর। যার মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের ছেলে পঙ্কজ (নয়ডা) এবং উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল বেবিরানি মৌর্য (আগরা)এবং প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহের নাতি সন্দীপ (অত্রৌলি)। নির্বাচনের আগের দিন নিজের ট্যুইটার হ্য়ান্ডেলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্যুইট করেন যোগী আদিত্যনাত। লেখেন, ‘অবশ্যই ভোট দিন। আপনার একটি ভোট উত্তরপ্রদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। নইলে কাশ্মীর, কেরালা ও বাংলা হতে বেশি সময় লাগবে না উত্তরপ্রদেশের।’ প্রথম দফার ভোটের আগের দিন যোগী আদিত্যনাথের এই বার্তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুনঃউত্তর প্রদেশের ভোট পর্বের শুরুতেই ট্যুইট পিএম মোদীর, কী বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুনঃ'দেশকে ভয় মুক্ত করতে ভোট দিন সবাই', টুইটে আর্জি রাহুল গান্ধীর
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ভোটে এই ৫৮টি আসনেই রীতিমত গেরুয়া ঝড় লক্ষ্য করা গিয়েছিল। কর্পূরের মত উবে গিয়েছিল বিরোধীরা। এই ৫৮ টি আসনের ৫৩টি জিতেছিল বিজেপি। ২ টি করে আসন জিতেছিল সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টি, একটি আসন জিতেছিল আরএলডি। মুজফ্ফরনগর হিংসার পরে ভোটের মেরুকরণের জেরে জাঠ প্রভাবিত এই এলাকায় পদ্ম-শিবির বিপুল জয় পায় বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত। এ বার ওই এলাকায় এসপি-আরএলডি জোট বিজেপি-কে কড়া টক্কর দিতে পারে বলে কয়েকটি জনমত সমীক্ষায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ফলে এবার এই আসনগুলিতে বিজেপিকে কঠিন লড়াইয়ের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে যোগী আদিত্যনাথের এই ট্যুইট বার্তা কোনও আদৌ কোনও প্রভাব ফেলে কিনা সেটাই দেখার। যদিও এই ট্য়ুইট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তবে দলের ভালো ফলের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির।