সংক্ষিপ্ত

যোগীর দাবি ৮০ শতাংশের বেশি আসনে জয় আসবে পদ্ম শিবিরের। তাঁর স্পষ্ট দাবি এবারে তাঁর রাজ্যে বিজেপি-র জয়ের হাত ধরেই তৈরি হবে নয়া রেকর্ড। 

নির্বাচনী আবহে গত মাস থেকেই উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশের মাটি। এদিকে বাকি চার রাজ্যে ১ থেকে ২ দফায় বিধানসভা নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও উত্তরপ্রদেশে তা হচ্ছে মোট ৭ দফায়। এদিকে যোগী রাজ্যে বৃহঃষ্পতিবারই হচ্ছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। বাস্তি, সন্ত কবির নগর, সিদ্ধার্থনগর, মহারাজগঞ্জ, কুশিনগর, দেওরিয়া, গোরখপুর, বলরামপুর, আম্বেদকর নগর এবং বালিয়ার ৫৭টি আসনে আজ ভোটগ্রহণ চলছে। এদিকে এদিনের ভোট শুরু মুখে গোটা রাজ্যে বিজেপি-র জয় নিয়ে ফের বড় বার্তা দিতে দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। গোরক্ষপুরে ভোট দেওয়ার পর তাঁর দাবি ৮০ শতাংশের বেশি আসনে জয় আসবে পদ্ম শিবিরের। তাঁর স্পষ্ট দাবি এবারে তাঁর রাজ্যে বিজেপি-র জয়ের হাত ধরেই তৈরি হবে নয়া রেকর্ড। 

এদিকে ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ পর্বের শুরু থেকেই এদিন সকাল সকাল ভোট দিতে বুথে পৌঁছে যান একাধিক রাজনীতিকরা। সকাল সকাল ভোট দিতে দেখা যায় বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকা পালকে। বিধানসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ পর্বে সিদ্ধার্থনগরে তার ভোট দিয়েছেন তিনি। জগদম্বিকা পাল বলেন, “আজ গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় দিন। আজ গোটা রাজ্যবাসীকেই সুষ্ঠ ভাবে ভোট দেওয়ার জন্য আমি আবেদন জানাচ্ছি।” অন্যদিকে দেওরিয়া সদরের বিজেপি প্রার্থী সালাবমণি ত্রিপাঠি তার গ্রাম দুমহিতে ভোট দিয়েছেন। একইসাথে গণতন্ত্রের মহা উৎসবে সিদ্ধার্থনগরেই ভোট দিয়েছেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষামন্ত্রী ডঃ সতীশ চন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে নিজ গ্রামের ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে ভোট দেন। ভোট কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসে তিনিও সবাইকে ভোটের মহান উৎসবে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রে ভোট গুরুত্বপূর্ণ, প্রত্যেকেরই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করা উচিত। ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। একটা ভালো সরকারও আমরা এই রাস্তাতেই পেতে পারি।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সতীশ চন্দ্র দ্বিবেদী ইটাওয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন।

আরও পড়ুন- শুরু ফলপ্রকাশের কাউন্টডাউন, কার হাতে যাচ্ছে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ

আরও পড়ুন- কার দখলে কৃষ্ণনগর, রাত পোহালেই ফলপ্রকাশ

আরও পড়ুন- কার দখলে যাচ্ছে নবদ্বীপ পৌরসভা, শুরু কাউন্টডাউন

এদিকে সকালে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হতেই বাস্তির হারাইয়া বিধানসভার মির্জাপুর বুথে ইভিএমে গোলমালের ঘটনা সামনে এসেছে। ভোটারদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ইভিএম পরিবর্তন করা হয়েছে ওই বুথে। অন্যদিকে কুশিনগর জেলার সদর বিধানসভা আসনের (পাদরৌনা) খেসিয়া গ্রামের ৯০ নম্বর বুথেও ইভিএমে গোলযোগ দেখা যায়। আর সেই কারণেই অন্যান্য জায়গার থেকে আধা ঘণ্টা দেরিতে ভোট শুরু হয় এই বুথে। তবে মোটের উপর ভোট শুরুর তিন ঘণ্টা পর্যন্ত গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কোথা থেকে কোনও অশান্তির খবর শোনা যায়নি।