সংক্ষিপ্ত
উত্তর প্রদেশ ছিলে কংগ্রেসের হাইকম্য়ান্ডদের নির্বাচনী কেন্দ্র। রায়বরেলি কেন্দ্র থেকে প্রথম জিতে সাসদ হয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। এই কেন্দ্র এখনও সনিয়া গান্ধীর নির্বাচনী কেন্দ্র।
উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে (UP Elections 2022) গেরুয়া ঝড়ে ধরাসায়ী বিরোধীরা। বিজেপি (BJP) যখন ২৫০র বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে তখন একমাত্র সমাজবাদী পার্টি (SP) ১০০ আসনের বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অনেক অনেকটা পিছনে রয়েছে কংগ্রেস (Congress)। মাত্র ২টি আসনে লড়াইতে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন দলটি। অথচ এই উত্তর প্রদেশ বছর তিরিশেক আগে পর্যন্ত ছিল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। কিন্তু তারপর থেকে ক্রমাগত ক্ষয়িষ্ণ হাত।
কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি ছিল
উত্তর প্রদেশ ছিলে কংগ্রেসের হাইকম্য়ান্ডদের নির্বাচনী কেন্দ্র। রায়বরেলি কেন্দ্র থেকে প্রথম জিতে সাসদ হয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। এই কেন্দ্র এখনও সনিয়া গান্ধীর নির্বাচনী কেন্দ্র। আমেঠি- আগের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর নির্বাচনী কেন্দ্র ছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে স্মৃতি ইরানির কাছে হেরেছিলেন রাহুল। যার অর্থ উত্তর প্রদেশ ধীরে ধীরে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে গান্ধী পরিবারের দিক থেকে।
দায়িত্বে প্রিয়াঙ্কা
গত তিরিশ বছর ধরে উত্তর প্রদেশে ধীরে ধীরে ভিত আলগা হচ্ছে কংগ্রেসের। কিন্তু এই বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত উত্তর প্রদেশ নিয়ে তেমন মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি কংগ্রেসকে। যদিও ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে লড়াই করে ধরাসায়ী হয়েছিল বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রিয়াঙ্কা আর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। জ্যোতিরাদিত্য দল বদল করে এখন গেরুয়া শিবির। এই অবস্থায় একাই মাঠে নামেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢ়়রা।
প্রচার শুরু
বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টির অনেক আগে থেকেই উত্তর প্রদেশে প্রচার শুরু করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু অনেকটা পরে ভোট প্রচার শুরু করেও তাঁকে টপকে যায় বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঝোড়ো প্রচারের কাছে খড়কুটোর মত উড়ে যায় প্রিয়াঙ্কার ভোট প্রচার। অন্যদিকে পরে প্রচার শুরু করেও উত্তর প্রদেশের বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে আসেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। মোদী প্রিয়াঙ্কাকে এককভাবে আক্রমণ করেননি। তিনি সরাসরি নিশানা করেছেন গান্ধী পরিবারকে। কিন্তু অখিলেশ একাধিকবার মোদীর নিশানায় বিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে লাল টুপি বলেও কটাক্ষ করতে শোনা গেছে।
প্রচারে প্রিয়াঙ্কা
উত্তর প্রদেশের নির্বাচনী প্রচারে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর মূল টার্গেট ছিল রাজ্যের মহিলারা। তিনি 'লেড়কি হু, লড়শক্তি হু' স্লোগান তুলেছিলেন। তিনি বাদ রেখেছিলেন রাজ্যের তরুণ ও যুব সমাজকে।
টার্গেটে ফাঁক
উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমেও প্রিয়াঙ্কা কখনই তেমনভাবে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সমালোচনা করেননি। যোগী সরকারের ভ্রান্ত নীতিগুলিকে টার্গেট করেনি। তেমনভাবে কোনও টার্গেট করেননি। মোদী যখন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার কথা বারবার বলেছেন সেখানে প্রিয়াঙ্কা তার ফাঁকগুলিতে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে তিনি শুধুমাত্র মহিলা নিরাপত্তার কথাই বলেছেন।
কাজ করেনি প্রতিশ্রুতি
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তথা কংগ্রেস নির্বাচনী ইস্তেহারে চাকরিসহ একাধিক প্রতিশ্রুতি দিলেও সেগুলি জনগণের সামনে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস।
ক্যাপ্টেন-চন্নির সঙ্গে সিধুর বিবাদে লাগাম দিতে দিল্লির ব্যর্থতা, তাতেই কি পঞ্জাবে ভরাডুবি কংগ্রেসের
গোয়াতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়েও সরকার গঠনের পথে বিজেপি, সোমবার নিতে পারে শপথও
প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে নতুন করে চুক্তির পথে তৃণমূল, শর্ত দিয়ে লাগাম পরানোর চেষ্টা মমতার
সংগঠনে ফাঁক
উত্তর প্রদেশে কংগ্রসের সংগঠন প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। দলের নেতা কর্মীদের দলবদল এই ধাক্কার বড় কারণ। প্রিয়াঙ্কার নেতৃত্বে যাঁদের ভোট প্রচারে সামনে আনা হয়েছিল পরবর্তীকালে তারাই চলে গিয়েছিল বিজেপিতে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই দলবদল ধাক্কা দিয়ে গেছে কংগ্রেসকে।