সংক্ষিপ্ত
ফের ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক।
বিধায়ক-সহ মোট সাত জনের দায়ের হল মামলা।
তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
অভিযোগ করেছেন বারাণসীর এক বিধবা।
ফের ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি বিধায়ক। বুধবার উত্তরপ্রদেশের ভাদোহি-র বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি-সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে একটি গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ৪০ বছর বয়সী বারাণসীর বাসিন্দা এক বিধবা মহিলা দিনকয়েক আগে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে ওই বিধায়কসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই তদন্ত করে এদিন একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার রামবদন সিং জানিয়েছেন, ওই বারানসীর লোহটিয়ার ওই মহিলা বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি ছাড়াও সন্দীপ, সচিন, চন্দ্রভূষণ, দীপক, প্রকাশ এবং নীতেশ নামে আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। বাকি ছয়জন ওই বিজেপি বিধায়কেরই ঘনিষ্ঠ সহচর। গত ১০ ফেব্রুয়ারি দায়ের করা ওই অভিযোগে নির্যাতিতা দাবি করেছেন, ছয় বছর আগে মুম্বই থেকে ফেরার সময় ট্রেনে ভাদোহির বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠির ভাগ্নে সন্দীপের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। সেই সূত্রেই ২০১৭ সালে তিনি তার সঙ্গে দেখা করতে এসে ফেঁসে যান।
সেই সময়ে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন চলছি। ওই মহিলার অভিযোগ নির্বাচন চলাকালীনই ভাদোহি শহরের একটি হোটেলে তাঁকে দেড় মাস ধরে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। এসময় তাকে একটানা পালা করে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। যার মধ্যে নির্বাচনে লড়া বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠিও ছিলেন। এরপর তিনি গর্ভবতীও হয়ে পড়েন। সেইসময় তাঁকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
রামবদন সিং আরও জানান, এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হলেও এখনই অভিযুক্তদের কাউকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। তবে, মহিলার বক্তব্য, হোটেলটির বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া-সহ সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে বুধবার ওই বিজেপি বিধায়ক-সহ সাত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ওই মহিলাকে তাঁর বক্তব্য নথিবুক্ত করতে হবে। মেডিকেল পরীক্ষার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই নিয়ে ভাদোহি জেলার রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি-র দাবি, তাঁর জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাঁর আঙুল জ্ঞানপুরের বিধায়ক বিজয় মিশ্রের দিকে। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন বিজয় মিশ্রের অবৈধ খনন ও উন্নয়নমূলক কাজে দুর্নীতির বিষয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। তার জন্যই তিনি এই চক্রান্ত করছেন। বিজেপি বিধায়কের দাবি করেছেন তিনি এই বিষয়ে যে কোনও তদন্তের জন্য প্রস্তুত। ওই মহিলা এতদিন কেন মুখ খোলেননি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।