সংক্ষিপ্ত
- রাতের অন্ধকারে দাহ করা হয়
- আটকে রাখা হয় পরিবারের সদস্যদের
- থাহরসের নিহত নির্যাতিতার সঙ্গে অমানবিক আচরণ
- পুলিশ জোর করে দেহ নিয়ে যায় বলে অভিযোগ
অনেক যন্ত্রণা নিয়ে মারা গিয়েছিল। কিন্তু মৃত্যের পরেও মা, বাবাসহ পরিজনদের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হল বছর ২০ নির্যাতিতা মেয়েটি। রাতের অন্ধকারে চুপিসারে উত্তর প্রদেশ পুলিশ মেয়েটির শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে। আর সেই সময় ধারে কাছেও ঘেঁসতে দেওয়া হয়নি নিহত নির্যাতিতার মা আর ভাই বোনেদের। মঙ্গলবার দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয় উত্তর প্রদেশের হাথরসের গণধর্ষিতার। তারপর বাড়িতে দেহ ফেরত পাঠন হয়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ রাতের অন্ধকারে যোগী আদিত্যনাথের পুলিস বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় নির্যাতিতার দেহ। আত্মীয় আর গ্রামবাসীরা বাধা দিলে তাদের আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। রাত আড়াইটে নাগাদ উত্তর প্রদেশের পুলিশ কোনও একটি শ্মসানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে।
মেয়েটির দেহ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পাঠান হলে গ্রামের মানুষ আর নিহতের পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায়। তারপরই নিহতের পরিবার জানিয়ে দেয় সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত নির্যাতিতার দেহ দাহ করা হবে না। এরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের চাপে কিছুটা হলেও পিছিয়ে এসে পরিবারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় হিন্দু রীতি মেনে সকাল হলেও দাহ করা হবে। কিন্তু তাতেই রাজি হয়নি পুলিশ। তারপরই পরিবারের সদস্যদের আটকে রেখে নির্যাতিতার দেহ নিয়ে শ্মশানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিশ। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় বাবাকেও। পরিবারের অভিযোগ সৎকারের সময় শ্মসানের আলো নিভিয়ে রাখা হয়। পুলিশের এই আচরণে রীতিমত ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার থেকেই হাথরসের ধর্ষিতা দলিত মেয়েটির মৃত্যুর পর থেকে উত্তর প্রদেশের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী থেকে মায়াবতী সকলেই অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে সরব হয়েছিল। অন্যদিকে দিল্লির হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল ভীম আর্মির সদস্যরা। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছিল তারা। ২০ বছরের দলিত মেয়েটিকে ধর্ষণের অভিযোগে ইতিমধ্যেই চার উচ্চবর্ণের যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে পুলিশ জানিয়েছিল চার জনই একটি ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে মেয়েটির ওপর অত্যাচার চালায়। গত ১৪ দিন ধরে জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেছিল মেয়েটি। টানা ১১ দিন দিল উত্তর প্রদেশের হাসপাতালে। তারপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়া তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় দিল্লির হাসপাতালে। সেখানেই মঙ্গলবার মারা যায় ধর্ষিতা। কিন্তু তারপরই মেয়েটির মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়ে যায় রাজনীতি।