সংক্ষিপ্ত
বিয়ে করার পর স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসতেই শুরু হয়ে গেল তুমুল অশান্তি। ছেলেকে ‘কাণ্ডজ্ঞানশূন্য’ বলে ব্যাপক তিরস্কার করতে শুরু করলেন তাঁর বাবা।
শনিবার রাতে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার জেরে শোরগোল পড়ে গেল উত্তর ভারতের উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানি এলাকায়। এই এলাকার সিন্ধি মোড় অঞ্চলে সদ্য একজনকে বিয়ে করে নিজের বাড়িতে এনেছিলেন এক যুবক। তিনি নিজে এলাকারই কোনও প্রশাসনিক বিভাগে কর্মরত। বিয়ে করার পর স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসতেই শুরু হয়ে গেল তুমুল অশান্তি।
-
বিবাহিত যুবকের বাবাও এলাকারই অন্য একটি প্রশাসনিক বিভাগের কর্মী। বাড়িতে তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তাঁর অন্যান্য ভাইয়েরাও রয়েছেন। তাঁর স্ত্রীকে আচমকা নববধূর সাজে দেখেই বাড়ির সকলের মাথায় হাত। ছেলেকে ‘কাণ্ডজ্ঞানশূন্য’ বলে ব্যাপক তিরস্কার করতে শুরু করলেন তাঁর বাবা।
-
নতুন বউকে দেখেই যুবকের বাবা একবাক্যে রায় দিয়ে দেন যে, তিনি কিছুতেই তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেবেন না। তখন নববিবাহিত যুবক নিজের বাবাকে এই আপত্তির কারণ জিজ্ঞেস করেন। যুবকের বাবা জানিয়ে দেন যে, তিনি যাঁকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছেন, সেই নববধূ আসলে কোনও মহিলা নন!
-
যুবকও বাবার আপত্তির ওপর জোর খাটাতে থাকেন এই মর্মে যে, তাঁর সঙ্গিনীকে বৃহন্নলা জেনেই তিনি বিয়ে করেছেন এবং এই ব্যক্তিই তাঁর স্ত্রী, কোনওমতেই তিনি তাঁকে ত্যাগ করবেন না। এই দাবির জেরে বাবা এবং ভাইদের সঙ্গে তাঁর তুমুল অশান্তি বেঁধে যায়, শেষমেশ রাগে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান।
-
বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় যুবকের বাবা এবং ভাইরা তাঁর পেছন পেছন এগিয়ে আসেন এবং তাঁকে চলে যেতে বাধা দেন। তখন যুবক সম্পূর্ণ এলাকার মানুষদের শুনিয়ে জোরে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘হ্যাঁ, ওকেই আমি বিয়ে করেছি। ও-ই আমার স্ত্রী।’ তাঁর বাবা ও ভাইরা জোর করে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে যুবক তাঁদের মারধর শুরু করেন।
-
স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফ থেকে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে পরিবারের সবাইকে শান্ত করে। তখন বাবা এবং ভাইদের সঙ্গে নববিবাহিত যুবক বৃহন্নলাকে নিয়েই নিজের বাড়িতে চলে যান। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে কোনও পক্ষই কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানা গেছে।