সংক্ষিপ্ত
জন্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার কাটরা শহরে বৈষ্ণদেবীর মন্দির অচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হল তীর্থ যাত্রীদের জন্য। রবিবার সকাল পর্যন্ত যাত্রা স্থহিত রাখা হয়েছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে।
জন্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার কাটরা শহরে বৈষ্ণদেবীর মন্দির অচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হল তীর্থ যাত্রীদের জন্য। রবিবার সকাল পর্যন্ত যাত্রা স্থহিত রাখা হয়েছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে। শনিবার রাতে বৈষ্ণো দেবী বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ২১ অগাস্ট অর্থাৎ রবিবার সকাল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে মন্দির যাত্রা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণেই যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও বলা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। তারপরই মন্দির কর্তপক্ষ এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলেও সূত্রের খবর। রাতের বেলা অনেকেই বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির কারণে যে কোনও সময়ই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যই রাতের বেলা যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার কারণে সাময়িক স্থগিত হওয়ার পরে তীর্থযাত্রা শুক্রবার শুরু হয়েছিল। "ভারী বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে, কাটরা থেকে বৈষ্ণো দেবী মন্দিরে তীর্থযাত্রীদের ঊর্ধ্বমুখী চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নীচের দিকে নেমে আসা তীর্থযাত্রীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) মোতায়েন করা হয়েছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।" এখনও পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি,” শুক্রবার দেরিতে বোর্ড একটি বিবৃতি জারি করেছিল।
তবে আবহাওয়ার উন্নতি হলে শনিবার সকাল থেকে ফের শুরু হয় ভক্তদের চলাচল। জুলাই মাসে, একটি মেঘ বিস্ফোরণ অমরনাথের পবিত্র গুহা এলাকায় আঘাত হানে যার ফলে পবিত্র গুহা সংলগ্ন 'নালায়' পানির প্রবল স্রাব ঘটে, যার ফলে অমরনাথ যাওয়ার পথটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এটি কিছু সময়ের জন্য যাত্রা বন্ধ ছিল।
অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত দুই পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। প্রবল বৃষ্টির কারণে ভূমিধস ও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হিমাচলে। ইতিমধ্যেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বলি ২২ জনেরও বেশি। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী রাজ্য উত্তরাখণ্ডের দেরহাদুন সাক্ষী থাকল মেঘভাঙা বৃষ্টির। শনিবার সকালে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে তছনছ হয়ে গেছে একটি গ্রাম। দুটি রাজ্যের ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। তৎপর রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দুই রাজ্যের পরিস্থিতি ক্রমশি ভয়াভয় হয়ে উঠেছে ।