সংক্ষিপ্ত

বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি দাবি করেছেন যে, কেলেঙ্কারিটি ৮ হাজার কোটি টাকার ছিল৷ আরেকজন বিজেপি নেতা বলেছেন, ১১০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির হয়েছে। সিবিআই এফআইআর করেছে যে, কেলেঙ্কারিটি ১ কোটি টাকার ছিল।

দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিশোদিয়ার বিরুদ্ধে কয়েকশো কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এবার সাংবাদিকদের সামনে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI)-এর ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্টের (FIR)-এর কাগজ নাড়িয়ে বিজেপির দাবিকে পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলে দিলেন মন্ত্রী মনীশ শিশোদিয়া। এফআইআর পেপার থেকে একের পর এক লাইন উদ্ধৃত করে বিরোধীদের চুপ করিয়ে দিলেন তিনি। 

তাঁর বাসভবনে সিবিআই অভিযানের একদিন পর সাংবাদিকদের সামনে মণীশ শিশোদিয়া বলেন, "তারা (বিজেপি) বলছে আবগারি নীতিতে বড় ধরনের দুর্নীতি রয়েছে৷ (বিজেপি নেতা) মনোজ তিওয়ারি দাবি করেছেন যে কেলেঙ্কারিটি ৮ হাজার কোটি টাকার ছিল৷ আরেকজন বিজেপি নেতা বলেছেন, ১১০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির পিছনে মণীশ শিশোদিয়ার হাত রয়েছে। আমি ভেবেছিলাম এলজির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কেলেঙ্কারির বিবরণ থাকবে। এলজি-র প্রেস নোটে বলা হয়েছে যে কেলেঙ্কারিটি ১৪৪ কোটি টাকার। গতকাল যখন সিবিআই অফিসাররা আমার বাড়িতে এসেছে, তারা তাদের সাথে এফআইআর নিয়ে এসেছে। 'সূত্রের' বরাত দিয়ে এফআইআর-এ বলা হয়েছে যে, কেলেঙ্কারিটি ১ কোটি টাকার ছিল। আমি আপনাদের বলছি, 'ইয়ে সব বকওয়াস হ্যায়' (অর্থাৎ, এ সবই বাজে কথা)।"

বর্তমানে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার দ্বারা বাতিল হওয়া আবগারি নীতিকে দেশের মধ্যে সেরা বলে অভিহিত করে শিশোদিয়া বলেছেন,  নীতিটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা এবং সততার সাথে প্রয়োগ করা হচ্ছিল। তিনি অভিযোগ করেন যে, যদি তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নীতিটি ব্যর্থ হওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র না করতেন এবং তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করতেন, তাহলে আজ দিল্লি সরকার "সেরা আবগারি নীতি" থেকে বার্ষিক ১০ হাজার কোটি টাকা আয় করতে পারত।


তিনিও দুই বা তিন দিনের মধ্যে গ্রেফতার হতে পারেন এবং তাঁর সহকর্মীর মতো জেলে যেতে পারেন বলে উল্লেখ করে, শিশোদিয়া বলেছিলেন যে, দিল্লিতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য একটা ষড়যন্ত্র চলছে। "কেন্দ্র সরকার কেলেঙ্কারী সম্পর্কে উদ্বিগ্ন নয়, তাদের উদ্বেগ হল অরবিন্দ কেজরিওয়াল, যিনি জনগণের কাছে প্রিয় এবং একটি জাতীয় বিকল্প হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। তারা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে থামাতে চায়, যার স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রের কাজ নিয়ে সারা বিশ্ব জুড়ে আলোচনা হচ্ছে।" তিনি আরও বলেন যে, এটা এখন স্পষ্ট যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন আম আদমি পার্টি (AAP) এবং বিজেপির মধ্যে লড়াই হবে— মোদি বনাম কেজরিওয়াল।

আরও পড়ুন-
মদ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল মণিশ সিসোদিয়ার, ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বাড়িতে তল্লাশি
সাবধান! আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যদি থাকে ভারতীয় রেলের হাতে, তাহলে তা আর গোপন না-ও থাকতে পারে