সংক্ষিপ্ত

ট্রেনটি ভাইজাগে পৌঁছলে রেলওয়ে পুলিশের অফিসাররা ট্রেনটির অবস্থা মূল্যায়ন করবেন বলেও জানানো হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে।

ফের আক্রমণের মুখে প্রধানমন্ত্রীর 'স্বপ্নের' বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এবার তেলেঙ্গানায় সেকেন্দ্রাবাদ-বিশাখাপত্তনম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হল। জানা যাচ্ছে শুক্রবার সন্ধ্যায় তেলেঙ্গানার মেহবুবাবাদ দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনের জানলা লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রেনের একটি জানলা। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত এবং কোন উদ্দেশে এই কাজ করা হয়েছে সেবিষয় খতিয়ে দেখছে রেলপুলিশ। ট্রেনটি ভাইজাগে পৌঁছলে রেলওয়ে পুলিশের অফিসাররা ট্রেনটির অবস্থা মূল্যায়ন করবেন বলেও জানানো হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে।

এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ-মধ্য রেলওয়ের সিপিআরও রাকেশ জানিয়েছেন,'আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি।' ১৫ জানুয়ারি সেকেন্দাবাদ থেকে বিশাখাপত্তনমগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। উল্লেখ্য ১৫ দিনের মাথায় এই নিয়ে দেশে দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করা হয়েছিল। এই ট্রেনের এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ৫২১ কোটি টাকা খরচ করেছে রেল। ১৯ জানুয়ারির বদলে ১৫ জানুয়ারি সংক্রান্তির দিনই তেলঙ্গানার জন্য এই ট্রেনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে এই ট্রেনকে তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য একটি 'উপহার' বলেই উল্লেখ করেছিলেম মোদী। তিনি এদিন আরও বলেন। 'বন্দে ভারত এক্সপ্রেস একরকমভাবে তেলঙ্গনা ও অন্ধ্রপ্রদেশের সংস্কৃতিকে সংযুক্ত করবে। আমি দুই রাজ্যের বাসিন্দাদেরই এই ট্রেনের জন্য শুভেচ্ছা জানাই।' মোদী আরও সংযোজন করেন,'এই সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান আমাদের সাংস্কৃতিকভাবে জুড়তে সাহায্য করে। তেমনই এই নতুন ট্রেন নিজের গতির মাধ্যমে আমাদের একে অপরের সঙ্গে জুড়তে সাহায্য করবে।' হায়দ্রাবাদ, বিজয়বাড়া, বিশাখাপত্তনমের মত শহরগুলি ছাড়াও আরও দেশের একাধিক পর্যটন কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে যাবে। উদ্বোধনের মাত্র কয়েকদিনের মাথায়ই আক্রমনের মুখে পড়তে হল এই ট্রেনকে।

প্রসঙ্গত, এর আগে একই ঘটনা ঘটেছিল হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রেও। মালদা স্টেশনের কাছে হামলার মুখে পড়তে হয় এই দ্রুতগামী ট্রেনকে। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। গত ৩০ ডিসেম্বরই হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি 'বন্দে ভারত' এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার ঠিক দু'দিনের মাথায় ২ জানুয়ারি মালদা কুমারগ্রামের স্টেশনের কাছে এই বিলাসবহুল ট্রেনকে লক্ষ্য করে চলতে থাকে ইট বৃষ্টি। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। হামলার আঘাতে একটা কোচের কাচ ভেঙে যায়। ঠিক কারা কী কারণে এই হামলা চালিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও একবার শিরোনামে উঠে আসছে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের তত্ত্ব। ইতিমধ্যেই ঘটনার বিরোধিতাইয় সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা রথীন্দ্র বসু। গোটা ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।