জেএনইউ কাণ্ডে আসরে নামলেন মুরলীমনোহর যোশী উপাচার্যকে নিয়ে করলেন টুইট গোটা দেশের স্বর প্রতিধ্বনিত হল তাঁর গলায় ঠিক কী বললেন বাজপেয়ী সরকারের শিক্ষামন্ত্রী 

এবার জেএনইউ কাণ্ডে আসরে নামলেন প্রবীন বিজেপি নেতা মুরলী মনোহর যোশী। বেশ কয়েকদিন ধরে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ধিত ফি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থী এবং উপাচার্যের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সিক্ষার্থীরা বারবার উপাচার্য মামিডালা জগদীশ কুমারকে বরখাস্ত করার দাবি জানাচ্ছেন। এইবার সেই একই মত দিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের শিক্ষামন্ত্রীও।

কেন্দ্রীয় মানব কল্যান মন্ত্রকের আওতায় থাকা শিক্ষা মন্ত্রক এর মধ্যে দু'বার উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও কোনও সমাধানে পৌঁছোনো যায়নি। উল্টে গত রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে মুখোশধারী দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের পর উপাচার্যের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে। গোটা দেশেই তাঁকে বরখাস্ত করার দাবি উঠেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্য়ায় টুইট করে যোশী বলেন, 'আশ্চর্যের বিষয় উপাচার্য সরকারের প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করে নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। এই মনোভাবটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং আমার মতে এ ধরণের উপাচার্যকে এই পদে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়'।

Scroll to load tweet…

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেলেই উপাচার্যকে বরখাস্ত করার দাবি নিয়ে জেএনইউ-এর শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত মিছিল করার চেষ্টা করেন। মাঝপথেই তাঁদের আটকে কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে আটক করে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় মুখোশধারী গুন্ডারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের মারধর করার পর থেকে জগদীশ কুমার দেশব্যাপী সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গুন্ডাদের থামাতে তিনি সামান্যতমও পদক্ষেপ নেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটেই পুলিশ থাকা সত্ত্বেও তাঁদের ফোন করে ডাকেননি তিনি। লাঠি, লোহার রড এবং হকিস্টিকের আঘাতে আহত শিক্ষার্থীদের কাছে একবারও না যাওয়ার জন্যও উপাচার্য ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন।