সংক্ষিপ্ত
উত্তর-উত্তরপূর্বে বাধা পেয়ে জঙ্গিরা আসতে পারে দক্ষিণ উপকূল দিয়ে। কীভাবে তার মোকাবিলা করবে এনএসজি, দেখুন ভিডিও।
ভারতের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত আপাতত দারুণভাবে সুরক্ষিত। একের পর এক জহ্গি কমান্ডারকে খতম করেছে এবং অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। তাই এবার দক্ষিণ ভারতের বিস্তৃত উপকূলরেখা দিয়ে পাকিস্তান এবং চিন-সমর্থিত জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পরে বলে মনে করা হচ্ছে। , আরব সাগর দিয়ে মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার মতো পরিস্থিতি যাতে ভারত মহাসাগর এলাকায় না হয় তার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিরক্ষা কমান্ডগুলি। সেরকমই এক মহড়া দেখা গেল বৃহস্পতিবার।
তামিলনাড়ুর উপকূল দিয়ে ইসলামিক স্টেট এবং আল কায়েদার মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি হামলা চালাতেই পারে বলে মনে করছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড বা এনএসজি। এদিন, মাদুরাইয়ের পান্ডি কোভিলের কাছে আম্মা মাঠে হেলিকপ্টার থেকে দেড় শতাধিক এনএসজি কমান্ডোকে দেখা গেল, সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী নিরাপত্তা মহড়া চালাতে। সুরক্ষিত এলাকাগুলিতে সন্ত্রাসবাদী হামলা হলে যে যে ধরমের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, সেই ধরণের কৃত্রিম পরিস্থিতি তৈরি করে কমান্ডোরা কীভাবে তার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তার রিহার্সাল দেয়।
আরও পড়ুন - দেবতার মূর্তি গুঁড়িয়ে তছনছ মন্দির, পাকিস্তানে উন্মত্ত জনতার তান্ডবে হতবাক গোটা বিশ্ব
বিশ্বমানের যুক্তরাষ্ট্রীয় বাহিনী এনএসজি, কমান্ডোদের একটিও ভুল-ত্রুটি করার অবকাশ থাকে না। সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার জন্যই এই বাহিনী গঠন করা হয়েছে। এই এনএসজির কমান্ডোরাই মুম্বই হামলায় পণবন্দিদের উদ্ধার ও সন্ত্রাসবাদীদের খতম করেছিল। সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে পণবন্দিদের মুক্ত করা, কোনও গুরুত্বপূর্ণ ভবন বা এলাকাকে জঙ্গিদের হাত থেকে মুক্ত করার মতো নির্দিষ্ট পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এই বাহিনী। তাই শুধুমাত্র মুম্বই হামলার মতো ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতেই এই বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়।