সংক্ষিপ্ত
লাহোর থেকে ৫৯০ কিমি দুরে রহিম ইয়ার খান জেলার ভোঙ্গ শহরে মন্দির ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর এর আগে এলাকার একটি মাদ্রাসা সম্পর্কে হিন্দুদের খারাপ আচরণের কারণেই ক্ষেপে যান এলাকার মুসলিমরা।
ফের মন্দির (Hindu temple) ভাঙা হল পাকিস্তানে। পাকিস্তানের (Pakistan) পঞ্জাব প্রদেশে (Punjab province) এই হামলা চলে। উন্মত্ত একদল মুসলিম যুবক (Muslim mob) হামলা চালায় বলে খবর। মন্দিরের বেশ কিছু অংশ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় মন্দিরে থাকা দেবতার মূর্তিতে (idols)।
একটি তদন্তে পুলিশি ব্যর্থতার প্রতিবাদে এই হামলা বলে সূত্রের খবর। মন্দিরে হামলা চালানোর পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। উল্লেখ্য চৌঠা অগাষ্ট এই ভাঙচুর চালানো হয়। লাহোর থেকে ৫৯০ কিমি দুরে রহিম ইয়ার খান জেলার ভোঙ্গ শহরে মন্দির ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর এর আগে এলাকার একটি মাদ্রাসা সম্পর্কে হিন্দুদের খারাপ আচরণের কারণেই ক্ষেপে যান এলাকার মুসলিমরা।
জানা গিয়েছে একটি ৮বছরের হিন্দু বালক মাদ্রাসার লাইব্রেরি এলাকায় প্রস্রাব করে। তারপর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়া এলাকায়। বুধবার অর্থাৎ চৌঠা অগাষ্ট পাকিস্তানের শাসক দল তেহরিক ই ইনসাফের সাংসদ রমেশ কুমার ভাঙ্কওয়ানি মন্দির ভাঙচুরের ভিডিও পোস্ট করেন। সেই ভিডিওর নৃশংসতা দেখে হতবাক গোটা নেট দুনিয়া।
বাড়ির সদর দরজায় ছোট্ট কিছু পরিবর্তন, ফিরিয়ে দেবে আপনার অর্থ ভাগ্য
Vastu Tips: বেডরুমের এক কোণায় রেখে দিন নুন, সংসারে ফিরবে শান্তি-সমৃদ্ধি
সূর্যের গা থেকে ছিটকে বেরোচ্ছে আগুনের গোলা, ভয়ঙ্কর সুন্দর ভিডিও প্রকাশ করল নাসা
টুইটারে এই ভিডিও পোস্ট করে তিনি লেখেন পুলিশের অবিলম্বে এই হিংসা থামানো প্রয়োজন। নয়তো পরিস্থিতি হাতে বাইরে চলে যাবে। তিনি বলেন ওই এলাকার পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত রয়েছে। কিন্তু পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এবার আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। ওই এলাকায় প্রায় ১০০টি হিন্দু পরিবার থাকে, তাদের নিরাপত্তা নেই বললেই চলে।
পাকিস্তানে হিন্দু মন্দিরের ওপর হামলা নতুন কিছু নয়। ২০২০ সালের নভেম্বরে করাচি শহরের লিয়ারি এলাকায় একটি প্রাচীন হনুমান মন্দির ভেঙে ফেলা হয়। শুধু তাই নয়, মন্দিরের কাছে বসবাসকারী প্রায় ২০টি হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়িও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।