সংক্ষিপ্ত

রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় সামিল হয়েছে একটি সারমেয়র মালিক। নিজের সারমেয়কে রাহুল গান্ধীর কাছে পৌঁছে দিয়েছে। রাহুল গান্ধীও কুকুরটিকে আদর করেছে।

 

ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় আবারও বিতর্কে রাহুল গান্ধী। তাঁর মিছিলের আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি নেতারা। একটি পোষা কুকুরকে বিস্কুট খাওয়া নিয়েই বিতর্কে জড়ালেন রাহুল গান্ধী।

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় সামিল হয়েছে একটি সারমেয়র মালিক। নিজের সারমেয়কে রাহুল গান্ধীর কাছে পৌঁছে দিয়েছে। রাহুল গান্ধীও কুকুরটিকে আদর করেছে। তাকে বিস্কুট খাওয়াতে চেয়েছে। কিন্তু অপরিচিতের হাতে থেকে বিস্কুট খেতে রাজি হয়নি সারমেয়টি। তাতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অনেক চেষ্টা করে রাহুল গান্ধি বিস্কুটগুলি সারমেয়ের মালিকের হাতে দিয়ে দেয়। তারপরই সারমেয়টি সেই বিস্কুটে মুখ দেয়। কংগ্রেসের শেয়ার করা এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

 

 

যদিও রাহুল গান্ধী বলেছেন, 'আমি কুকুর এবং মালিককে ডেকেছিলাম। কুকুরটি ঘাবড়ে গিয়েছিল, কাঁপছিল এবং আমি যখন তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করি তখন কুকুরটি ভয় পেয়ে যায়। তাই আমি কুকুরের মালিককে বিস্কুট দিয়েছিলাম এবং কুকুরটি তার হাত থেকে খেয়েছিল। আমি বুঝতে পারি না। এতে সমস্যা কি।'

যদিও এতেই বিতর্ক দেখছে বিজেপি। কংগ্রেসের শেয়ার করা ভিডিওটি এখন রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করার জন্য বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার। বিজেপির তথ্য প্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছেন, মাত্র কয়েকদিন আগে, কংগ্রেস সভাপতি খড়গে জি দলের বুথ এজেন্টদের কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন এবং এখানে রাহুল গান্ধী তার সফরের সময় একটি কুকুরকে বিস্কুট খাওয়াচ্ছেন এবং যখন কুকুরটি খায়নি, তিনি তার কর্মীকে একই বিস্কুট দিয়েছিলেন।

 

 

যে দলের সভাপতি ও যুবরাজ তার দলের কর্মীদের সঙ্গে কুকুরের মতো আচরণ করেন, তাহলে এমন দলের বিলুপ্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মাও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে বলেছেন, রাহুল ও তাঁর পরিবারের তাঁকে এভাবে বিস্কুট খাওয়াতে পারেনি। আর সেই কারণে তিনি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। তিনি নিজেকে গর্বিত অসমীয়া ও ভারতীয় বলেও উল্লেখ করেছেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর কথা টেনে এনে বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেছেন, যাদের আত্মসম্মান থাকে তারা কখনই এই কারণের জন্য কংগ্রেসে থাকতে পারে না। কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়।

আরও পড়ুনঃ 

লিভ-ইন সম্পর্কের জন্য অনুমতি প্রয়োজন- না হলে শাস্তির খাঁড়া, অভিন্ন নাগরিক আইন উত্তরাখণ্ডে

PM Modi: দেশের মানুষের ক্ষমতার ওপর আস্থা ছিল না নেহরু ও ইন্দিরার, বাজেট ভাষণে কংগ্রেসকে নিশানা মোদীর

DA Case: আজও সুপ্রিম কোর্টে হল না ডিএ মামলা, মামলা উঠতে পারে ৪ সপ্তাহের মধ্যে