সংক্ষিপ্ত
সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি তালিকাভুক্ত হয়েছিল।
আজও শুনানি হল না ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা মামলার। সুপ্রিম কোর্টে পিছেয়ে গেল মামলা। সোমবার ৬ নম্বর কোর্টের মামলার তালিকার ৬০ নম্বর ঘরে ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৪০ নম্বর মামলার শুনানি হওয়ার সময়ই আদালতের কাজের সময় শেষ হয়ে যায়। তাই এদিন আর রাজ্যের ডিএ মামলার শুনানি হয়নি। তবে কবে ডিএ মামলার শুনানি হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি তালিকাভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু সময়ের কারণে হয় না। সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, আজকে আবার একটি নিষ্ফলা দিন গেল। তবে সুপ্রিম কোর্টের একটি নিয়ম আছে যেটায় লিস্টেড যে মামলা আজকে উঠল না সেটা আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তুলতে হবে। সেই কারণে এটি বেশি দিন ফেলে রাখা যাবে না। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন ডিএ যে আন্দোলন যেমন চলছে তেমনই চলবে।
এই নিয়ে মামলা ১২বার মামলাটি শুনানির জন্য উঠতে চলেছে। এর আগে ১১ বার মামলার শুনানি হয়েছে। ২০২২ সালে ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে প্রথমবার উঠেছিল ডিএ মামলা। গতবছর ১ ডিসেম্বর শেষবারের মত এই মামলার শুনানি হয়েছিল। কেন্দ্রীয় হারে ও বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা বা ডিএ-এর দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা মামলা করেছিল। প্রথমে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের সরকারি কর্মীদের রাজ্যের হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তারপরই রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর মামলা দায়ের করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের। প্রথম শুনানি হয় ২৮ নভেম্বর।
আগেই রাজ্য সরকার জানিয়েছিল হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ডিএ যদি দিতে হয় তাহলে রাজ্যের ভাণ্ডার থেকে ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এই টাকা রাজ্যের পক্ষে খচর করা সম্ভব নয়। যদিও গত বছর ডিসেম্বর মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি ৪ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধির কথা বলেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী চলতি বছর জানুয়ারি থেকেই ১০ শতাংশ ডিএ কার্যকর হয়েছে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য। অন্যদিকে ডিএ-এর দাবিতে ধর্নাও দিয়েছিল রাজ্যের সরকারি কর্মীরা।