সংক্ষিপ্ত
- প্রধানমন্ত্রী মৎস সম্পদ যোজনার উদ্বোধন
- ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রকল্পের উদ্বোধন
- মাছ উৎপাদন আর বিক্রিতে জোর
- বিহার নির্বাচনের আগেই গ্রামীণ প্রকল্পে জোর
আগামী দিনে গ্রামগুলি আত্মনির্ভর ভারতের স্তম্ভ হয়ে উঠবে। যা গ্রামগুলিকে আরও সমৃদ্ধ করবে। আরও শক্তি বাড়াবে গ্রামীণ নাগরিকদের। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মৎস সম্পদ যোজনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমনই বার্তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরও বলেন আজ যে প্রকল্পগুলির কাজ শুরু হয়েছে তার পিছনে রয়েছে আগামী দিনে গ্রামগুলিকে আত্মনির্ভর ভারতের স্তম্ভে পরিণত করার চিন্তাভাবনা। তিনি আরও বলেন বর্তমানে দেশে নীল বিপ্লবের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে। আর যার অর্থ হল মাছের উৎপাদন আর ব্যবসা বৃদ্ধি করা। কথা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন শ্বেত বিল্পবের যেমন দুগ্ধজাত ক্ষেত্রগুলিতে উন্নতি করা হয়েছে, মিষ্টি বিল্পবের ফলে উন্নতি হয়েছে মধু উৎপাদনে। আর নীল বিল্পবের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি আরও শক্ত হবে বলেও তিনি দাবি করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিন্দিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেন, দেশের প্রতিটি অংশে সমুদ্র আর নদীর তীরবর্তী অঞ্চল মাছের ব্যবসায় নেতত্ব দেবে। আর এই বিষয়ে দেশ একটি বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। স্বাধীনতার পরেই এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ শুরু হয়েছিল। কিন্তু এখন প্রকল্পগুলিকে রীতিমত নজর দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বিহারের ফিশারি আর পশুপালন খাতে আরও বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলেও জানিয়েছিলেন। কৃষকদের জন্য ই-গোপালা অ্যাপ চালু করেছেন। আর এই প্রকল্পটিকে সামনে রেথে প্রধানমন্ত্রীর মৎস সম্পদ যোজনা তৈরি করা হয়। বৃহস্পতিবার দেশের ২১টি রাজ্যে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। আগামী ৪-৫ বছর ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। ইতিমধ্যেই ১৭০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন বিহারের বিহারের বিভিন্ন এলাকায় মাছ চাষের সুবিধে রয়েছে সেই সব এলাকাগুলিতে আগামী দিনে মাছ বিক্রির কেন্দ্রে পরিণত করা হবে। পাটনা, পুর্ণিয়াসহ একাধিক এলাকায় সেই সুযোগ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন দেশের প্রতিটি সমুদ্র আর নদী এলাকায় মাছের ব্যবসার কথা মাথায় রেখেই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আর সেই কাজে সাহায্য করবে নতুন অ্যাপ। বিহার ভোটের আগেই প্রধানমন্ত্রীর একাধিক প্রকল্পের উদ্ধোবধন করছেন। যা নিতে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। আগামী বছরই বাংলায় লোকসভা নির্বাচন। সেই দিকে নজর রেখে বাংলা ও বিহারের বাসিন্দারের মন জয় করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।