এতদিন নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রতিবাদ নিয়ে মোদীর মুখে ছিল কুলুপ সোমবার কলকাতায় প্রতিবাদী সভা করলেন মমতা একই সময়ে হিংসাত্মক প্রতিবাদ নিয়ে টুইট করলেন নরেন্দ্র মোদী নাগরিকত্ব বিল যে দেশের সকলে মানছে না, তা মানতে বাধ্য হলেন তিনি 

এমনিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বেশ স্বচ্ছন্দ। মহারাষ্ট্রে মহা চমক দিয়ে দুদিনের জন্য দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার একঘন্টার মধ্যে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু, কিছু কিছু বিষয়ে নীরবই থাকেন তিনি। হায়দরাবাদ কাণ্ডের পরও দেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বাড়া নিয়ে যেমন নীরব ছিলেন, তেমনই গত পাঁচদিন ধরে দেশের একের পর এক অংশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে হিংসা ছড়ালেও এতদিন মুখে রা টি কাড়েননি তিনি। যেন সবকিছু ঠিক আছে।

চাপ ক্রমে বেড়েই চলেছে। সোমবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী। টুইট করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বললেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক প্রতিবাদ হওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক এবং অত্যন্ত দুঃখজনক। বিতর্ক, আলোচনা ও মতবিরোধ গণতন্ত্রের অপরিহার্য অঙ্গ। কিন্তু জনসাধারণের সম্পত্তির ক্ষতি করা এবং স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত করাটা অনৈতিক।

Scroll to load tweet…

নাগরিকত্ব বিল-এর সমালোচকদের দাবি এই বিল বৈষম্যমূলক ও মুসলিম বিরোধী। এই নিয়ে আরও একটি টুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের কোনও ধর্মের কোনও নাগরিকের উপর নাগরিকত্ব আইনের প্রভাব পড়বে না। আইনটি নিয়ে কোনও ভারতীয়ের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। যারা বহু বছর বাইরের দেশে অত্যাচারের সম্মুখিন হয়েছেন এবং ভারত ছাড়া আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, এই আইনটি শুধু তাদের জন্য।

Scroll to load tweet…

রবিবারই, ঝাড়খণ্ড বিধানসভার প্রচারে এসে দুমকার এক জনসভায় নরেন্দ্র মোদী নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন হিংসাত্মক রূপ নেওয়ায় পিছনে কংগ্রেসের হাত আছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মোদী। দাবি করেছিলেন উত্তর-পূর্বের সাধারণ মানুষ হিংসা চান না। কংগ্রেস-এর এই আচরণ থেকেই বোঝা যাচ্ছে তাঁদের এই পদক্ষেপ ১০০০ শতাংশ ঠিক ছিল।