সংক্ষিপ্ত

করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংগঠনের পক্ষ থেকে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ ধর্মান্তকরণ নিয়েও আইন আনার দাবি জানান হয়েছে। 

করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গ আসন্ন। তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কমিটির দুদিনের বৈঠকে রীতিমত গুরুত্ব পেয়েছে কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে দেশব্যাপী লড়াই। করোনার হাত থেকে রক্ষার পাশাপাশি পরিষদের বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে মঠ ও মন্দিরে অবৈধ ধর্মান্তকরণ আর মুক্তির নিষেধাজ্ঞা নিয়েও। গঠনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে সংক্রমণ প্রতিহত করতে সংস্তার গ্রামে গিয়ে জনগণকে সচেতন ও সাহায্য করবে। 

ফরিদাবাদের মানব রচনা বিশ্ব বিদ্যালয়ের দুদিনের ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যনির্বাহী সভাপতি ও সিনিয়ন অ্যাডভোকেট অলোক কুমার। তিনি বলেছেন করোনার তৃতীয় তরঙ্গ থেকে রক্ষার জন্য সারাদেশে একটি অভিযান শুরু করা হবে। দেশজুড়ে হিন্দু বাহিনীর সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করা হবে। শহরের পাশাপাশি গ্রামের মানুষকেও সচেতন করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিতে সর্বাত্মক সাহায্য করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলেও সংগঠনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। 

করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গে শিশুর বিশেষ ক্ষতি গ্রস্ত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। আর সেই কথা মাথায় রেথেই সমস্যা সমাধানের জন্য মহিলাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংকটের সময় সরকারের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান হয়েছে। 

অবৈধ ধর্মান্তকরণ নিয়েও মুখ খুলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এটি একটি জাতীয় অভিশাপ, এর থেকে মুক্তি পেতে হবে। অবৈধ ধর্মান্তকরণ বন্ধ করতে ১১টি রাজ্যে আইন রয়েছে। গোটা দেশেই এই বিষয়টিন বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাই সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। অবৈধ ধর্মান্তকরণ রুখতে কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োজন মনেও মনে করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক সিদ্ধান্ত আর বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা স্পষ্ট এই বিষয়ে দ্রুত আইন লাগু করা প্রয়োজন। এই আইন লাগু হলেও মুসলমান আর মিশনারিদের হাত থেকে ভারতীয় হিন্দুদের রক্ষা করা যাবে বলেও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। 


বৈঠক শেষে আলোক কুমার আরও জানিয়েছেন, সারা দেশে মঠ ও মন্দিরগুলির উপর থেকে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তি পেতে একটি প্রস্তাব পাশ করা হয়েছিল। এই রেজুলেশনে বলা হয়েছে মঠ কেবল বিশ্বারের কেন্দ্র নয়, হিন্দু সমাজের আত্মার কেন্দ্রবিন্দুও। তাই কোনও মঠ বা মন্দিরকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখা ঠিক নয়। সমাজই মঠ ও মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে পারে। ভক্তরাই মন্দিরগুলির আদি গৌরব ফিরিয়ে দিতে পারে। 

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত প্রটোকল মেনে এই বৈঠকে ৫০ জন কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অনলাইনে প্রায় সাড়ে তিনশো প্রাদেশিক কর্তা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।