বল্লভজির আষ্টধাতুর মূর্তি উন্মোচন  ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী  বল্লভজির দর্শন ও জীবনগাথা তুলে ধরেন  আত্মনির্ভর ভারত গঠনের দাবি জানান   

জৈন সন্ন্যাসী আচার্য শ্রী বিজয় বল্লভ সুরিশ্বর জি মহারাজের ১৫১তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁরই 'শান্তি মূর্তি' বা 'স্ট্যাচু অব পিস'-এর উন্মোচন করেন। অষ্টধাতুর তৈরি মূর্তি উন্মোটনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন বল্লভভাই প্যাটেল ও বল্লভজি তাঁদের জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন। তাঁদের দুজনের মূর্তি উদ্বোধন করার সুযোগ পাওয়ার জন্য নিজেকে ধন্য মনে করছেন। 

Scroll to load tweet…

জৈন সন্ন্যাসী আচার্য শ্রী বিজয় বল্লভ সুরিশ্বর জি মহারাজের ১৫১ ইঞ্চি লম্বা মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে অষ্টধাতু দিয়ে। রাজস্থানের পালিতে মূর্তিটি স্থাপন করেছে বিজয় বল্লভ সাধনা কেন্দ্র। ১৮৭০-১৯৫৪ পর্যন্ত সময়কাল ছিল আচার্যের কর্মজীবন। ভগবান মহাবীরের বাণী প্রচারের পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি ও অহিংসার বাণী প্রচার করেছিলেন তিনি। নিঃস্বার্থ ও কঠোর কৃচ্ছসাধণ করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন আচার্যের কথা স্মরণ করে বলেন, ধর্মকে কোনও কিছুদিয়েই বেঁধে রাখা যায় না। ধর্ম একটি বহতা সরোবর। যেখানে অনেক মত এসে মিলিত হয়। প্রধানমন্ত্রী আচার্যকে একজন দার্শনিক ও আধুনিক ভারতের শ্রষ্ঠা হিসেবে বর্ণনা করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন আচার্যের দর্শন ও জীবনগাথা আধুনিক প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। স্বাধীনতার উত্তাল সময় গোটা দেশের জাতীয়তাবাদ জাগাতে আচার্যের অবদানের কথা স্মরণ করেন। 

Scroll to load tweet…

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করতে চলেছে। এই সময় স্বাধীনতার আন্দোলনে আচার্যের একটি বিশেষ অবদান ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। স্বাধীনতার আন্দোলনে ক্ষেত্র তৈরির জন্য সন্তদের একটি বিশেষ অবদান ছিল বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই পথ ধরেই আগামী দিনে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের অঙ্গীকার করার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন ভোকাল ফর লোকালের জন্য সরব হতে হবে গোটা দেশকে। পাশাপাশি দেশের সন্তজনের কাছেও আত্মনির্ভর ভারত গঠনের মন্ত্র দেশের পাশাপাশি বিদেশেও ছড়িয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন আচার্য বল্লভজি বলেন দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। তাঁর এই সমাজসের পথ ধরে এখনও দেশের তরুণ সম্প্রদায় সমাজসেবার কাজে এগিয়ে আসেন। দেশের শিক্ষাক্ষেত্রেও বল্লভজি হস্তক্ষেপ করেছিলেন। ইংরাজি শিক্ষাব্যবস্থায় ভরসা না রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেছিলেন। তৈরি করেছিলেন স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়। নারী শিক্ষা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজেই বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। মহিলাদের সমানাধিকারের আন্দোলনেও তাঁর বিশেষ ভূমিক গ্রহণ করেছিল তাঁর দর্শন। আর সেই পথ ধরেই দেশ বদলের জন্য তিন তালাক রোধের মত আইন প্রনয়ণ করা হয়েছে।