সংক্ষিপ্ত

মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের তত্ত্বাবধানে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে ২০২১ সালে গোটা ভারতে হত্যা, হামলা, ভয় দেখানসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর হামলা হয়েছে

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একটি রিপোর্টের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত। বিদেশ মন্ত্রক মার্কিন রিপোর্ট সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে  আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি নিয়ে চর্চা করা হচ্ছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, পুরো রিপোর্টি ভারত খতিয়ে দেখেই তা বাতিল করেছে। তিনি আরও বলেছেন, পুরো রিপোর্টটি 'অনুপ্রাণিত ইনপুট ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির' উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। 

মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের তত্ত্বাবধানে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে ২০২১ সালে গোটা ভারতে হত্যা, হামলা, ভয় দেখানসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর হামলা হয়েছে। 


অরিন্দম বাগচি বলেন, 'আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ২০২১ সালের রিপোর্টের প্রকাশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অজ্ঞাত মন্তব্য আমরা লক্ষ্য করেছি।' তিনি বলেন এটি খুবই খারাপ যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির চর্চা হয়েছে। তিনি আরও বলেন ভারত সর্বদাই বলবে অনুপ্রাণিত ইনপুট ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন এড়াতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায়  এজাতীয় বিষয়গুলি তুলে ধরা হবে। তবে আমেরিকারও জাতিগত হিংসার ইতিহাস  রয়েছে। বন্দুক হিংসার  ইতিহাস রয়েছে। 

প্রতিবেদনে ভারত বিভাগে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে  ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, হত্যা,  ও ভয় দেখানোর মত ঘটনা সারা বছরই ঘটছে। গোহত্যা ও গোমাংস ব্যবসা নিয়ে যে অ-হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে হিংসার ঘটনা ঘটছে সেগুলিও তুলে ধরা হয়েছে। 

এর আগেও ভারতের সংখ্যালঘু নির্যাতন হতে এই অভিযোগ করে একের পর সরব হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নমার্কিন সহ বিদেশী সংবাদপত্রেও এই বিষয়চি উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সময়ই ভারত এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিল। কৃষক আন্দোলনের সময়ই আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে ভারতী বিরোধী সুর চড়া হয়েছিল। তখন তার বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে সেলিব্রিটিরা।