সংক্ষিপ্ত

  • হায়দরাবাদ এনকাউন্টারের পর দেশ এখন সরগরম
  • বিভিন্ন ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি উঠছে 
  • নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দিতে ফাঁসুড়ে হতে চেয়েছে এক যুবক
  • উন্নাও-এ সাহসিনীর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারও শ্যুটআউটের দাবিতে সরব

হায়দরাবাদ এনকাউন্টারের জেরে এখন দেশজুড়ে হইচই। বিভিন্ন ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তদের একই শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন অনেকে। এহেন পরিস্থিতিতে এক অভিযুক্তকে গণপিটুনি দেওয়ার ঘটনা সামনে এল। কেরলের কুখ্যাত বলায়ার ধর্ষণকাণ্ডে এই ব্যক্তি অভিযুক্ত। 

আরও পড়ুন- উন্নাও কাণ্ডের প্রতিবাদ, শিশুকন্যার শরীরে পেট্রল ঢাললেন দিল্লির মহিলা

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পালাক্কাড়ে কুট্টি মধু নামে ওই ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেয় কিছু মানুষ। পিছন থেকে আক্রমণ হওয়ায় কুট্টি কিছু-ই বুঝে উঠতে পারেনি। পরে পুলিশ এসে গণপিটুনির হাত থেকে কুট্টিকে উদ্ধার করে এবং তাকে পালাক্কাড় জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। 

কারা এই হামলা চালিয়েছে তা পুলিশ এখনও জানতে পারেনি। তদন্ত চলছে। তবে, বৃহস্পতিবার সকালে হায়দরাবাদ এনকাউন্টারের খবর প্রকাশ্যে আসতেই বলায়ার ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে সরব হন পালাক্কাড়েরব মানুষ। তাঁরা প্রকাশ্যেই এই ধর্ষণকাণ্ডে মুক্তি পাওয়া অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানাতে থাকে। এই অভিযুক্তদের কোনওভাবেই এই দেশে ঠাঁই হতে পারে না বলেও অনেকে দাবি করেন। এরপরই রাতে বলায়ার ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃতীয় ব্যক্তি কুট্টির উপর হামলার ঘটনা। 

আরও পড়ুন- মেয়েকে যারা জ্বালিয়েছে তাদের গুলি করে মারো, রাগে অগ্নিশর্মা পিতার আর্জি

২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে বলায়ারে বছর তেরোর এক বালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয় মৃত্যুর আগে ওই বালিকা ধর্ষিত হয়েছিল। এর ঠিক দুই মাসের মাথায় ওই বালিকার ৯ বছরের বোনেরও দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। এবারও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সামনে আসে ধর্ষণের ঘটনা। স্থানীয় মানুষ জন এই ঘটনায় সরব হয়। মধু, শিবু এবং এম মধু নামে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে এদের গ্রেফতারও করেছিল। 

আরও পড়ুন- ভাইয়া মুঝে বাঁচালো-মুঝে মরনা নেহি হ্যায়, শেষ আর্জি ছিল উন্নাওয়ের নির্যাতিতার

ধৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, আত্মহত্যায় প্ররোচনা, নারী সম্মানে আঘাত, নাবালিকা নির্যাতনের মতো অভিযোগও দায়ের করা হয়। মধুদের জেরা করে পুলিশ আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে একজন আবার নাবালক। পসকো আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু, পুলিশ তদন্তে ধৃতদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। ফলে এদের সকলকেই মুক্তি দেয় পসকো আদালত। 

১৩ নভেম্বর এই রায়ের বিরুদ্ধে মত পোষণ করে কেরল হাইকোর্ট। আগের রায়কে 'নো কারেক্ট' বলে মন্তব্য করা হয়। এরপর থেকেই বলায়ার ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জনরোষ দানা বাধতে থাকে। হায়দরাবাদ এনকাউন্টার এই জনরোষে মাত্রা যোগ করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর জেরেই কুট্টি মধু-র উপরে হামলার ঘটনা বলেই ধরছে পুলিশ।