সংক্ষিপ্ত

Waqf Amendment Bill: Waqf Amendment Bill: লোকসভার (Lok sabha) পর এবার রাাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill)। বুধবার গভীর রতে লোকসভায় পাশ হয়েছিল বিলটি। তারপর দিনই বিলটি পেশ করা হয়েছিল রাজ্যসভা (Rajya Sabha)।

 

Waqf Amendment Bill: লোকসভার (Lok sabha) পর এবার রাাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill)। বুধবার গভীর রতে লোকসভায় পাশ হয়েছিল বিলটি। তারপর দিনই বিলটি পেশ করা হয়েছিল রাজ্যসভা (Rajya Sabha)। এবার সেখানেও বিলটি পাশ হয়েছে। বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১২৮টি। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৯৫টি। এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সই করলেও বদলে যাবে ৭০ বছর পুরনো ওয়াকফ আইন। ১৯৫৪ সালের আইনকে সংশোধন করে ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু তার ৩০ বছর পরে যে সংশোধন করা হল তাতে ওয়াকফ বোর্ডের কাঠামোতে একটি বড় বদল করা হল। বিরোধীদের দাবি ওয়াকফ আইন সংশোধনের মাধ্যমে বোর্ডের ক্ষমতা অনেকটাই খর্ব করল মোদী সরকার।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ রাজ্যসভায় পেশ করা হয়েছিল ওয়াকফ বিল। সংসদীয় বিষয়ক ও সংখ্যালঘু মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বিলটি নিয়ে প্রথম বক্তব্য রাখেন। রিজিজু দাবি করেন, ওয়াকফ সম্পত্তির অন্যতম লক্ষ্য হল মুসলিম সমাদের গরিব, মহিলা, অনাথ শিশুদের উন্নয়ন। নতুন আইনে প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব আদায় করা যাবে ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে। যাইহোক ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনা চলে রাত ১টা ১১ মিনিট পর্যন্ত। যদিও রাত ৯টায় আলোচনা শেষ হওয়ার কথা ছিল।

রাত ১টা ১১ মিনিটে কিরেন রিজিজুর জবাবি ভাষণ শেষ হয়। তারপর উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় বিলটি পাশের জন্য উপস্থিত সদস্যদের সম্মতি চান। ধ্বনীভোটে পাশ হয়ে যায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। বিরোধী বেঞ্চের দাবি মতো ধনখড় সেই সংশোধনীর উপরে ভোটাভুটিও করান। ফলাফলে দেখা যায়, সংশোধনীটির পক্ষে ভোট পড়েছে ৯২টি। আর বিপক্ষে অর্থাৎ বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১২৫টি। তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, বিল পাশের ক্ষেত্রে ভোটাভুটির ফলাফল কী হতে চলেছে।

লোকসভায় এনডিএ জোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ট হলেও রাজ্যসভায় তেমন নয়। রাজ্যসভার সদস্য সংখ্যা ২৩৬। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্থাৎ ১১৯টি আসন। কিন্তু বিজেপি আর জোট সঙ্গীদের আসন সংখ্যা ১১৭। বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৯৮। ইন্ডিয়া জোটের আসন সংখ্যা ৮৮। যদিও বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিলটি মসৃণভাবে পাশ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল শাসক শিবিরে। কিন্তু জাদু সংখ্যর থেকে অনেক বেশি সংখ্যায় বিলটি পাশ হয়ে যায়।