সংক্ষিপ্ত
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন চিকিৎসক কাফিল খানের স্ত্রী সাবিস্তা খান। তিনিও পেশায় একজন চিকিৎসক। সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় এক নৃত্যশিল্পীর সঙ্গে রাজস্থানী লোকসঙ্গীতের তালে রীতিমত পা মেলাচ্ছেন ডাক্তারবাবু।
চিকিৎসক কাফিল খানের নাচের ভিডিও মন কেড়ে নিল নেটিজেনদের। উত্তর প্রদেশের সেই ডাক্তারবাবু, যিনি হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের বাঁচানো চেষ্টা করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যানাথের রোষে পড়েছিলেন। উত্তর প্রদেশ সরকার বাহরাইচ জেলা হাসপাতালে জোর করে রোগীদের চিকিৎসার অভিযেগ সাময়িক বরখাস্ত করেছিল তাঁকে। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের সরকারের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদের জারি করায় আনন্দে নেচে ওঠেন ডাক্তারবাবু। লোক সঙ্গীতের সুরে তাঁর নাচের ভিডিও ভাইরাল নেটদুনিয়ায়।
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন চিকিৎসক কাফিল খানের স্ত্রী সাবিস্তা খান। তিনিও পেশায় একজন চিকিৎসক। সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় এক নৃত্যশিল্পীর সঙ্গে রাজস্থানী লোকসঙ্গীতের তালে রীতিমত পা মেলাচ্ছেন ডাক্তারবাবু। টুইটারে ভিডিওটি পোস্ট কারর ক্যাপশানে তিনি আরও লিখেছেন, উত্তর প্রদেশ সরকারের দ্বিতীয় স্থগিতাদেশের ওপর আদালত স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর আমার স্বামী।
মঙ্গলবার ইলাহাবাদ হাইকোর্ট বাহরাইচ জেলা হাসপাতালে জোর করে রোগীদের চিকিৎসা করা আর সরকারি নীতির সমালোচনা করার অভিযোগে দ্বিতীয়বার কাফিল খানকে সাময়িক বরখাস্ত করার নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে। যাতে রীতিমত খুশি কাফিল খান ও তাঁর পরিবার।
Sonu Sood: রেহাই পেলেন না অভিনেতা সোনু সুদও, মুম্বইয়ের ৬টি স্থানে আয়কর 'পর্যবেক্ষণ'
পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন 'শিসগ্রামে', সেরা পর্যটন গ্রামের জন্য মনোনীত মেঘালয়ের পাহাড়ী গ্রামটি
কাফিল খান আগে গোরক্ষপুরের বিারডি মিডেকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। সেখানেই কাজের সময়ই তাঁকে বরখাস্ত করেছিল উত্তর প্রদেশ সরকার। যোগী সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই দীর্ঘ আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন উত্তর প্রদেশের এই মুসলিম চিকিৎসক। যদিও উত্তর প্রদেশ সরকার জানিয়েছে তার বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও পর্যন্ত শেষ হয়নি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত করেছেন আগামী এক মাসের মধ্যে কাফিল খানের বিরুদ্ধে সব তদন্ত শেষ করতে হবে। পরবর্তী শুনানি আগামী ১১ নভেম্বর। একই সঙ্গে আদালতে কাফিল খানকে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেছেন।