বুধবার ব্রেন স্ট্রোক হয় পুজারী সত্যেন্দ্র দাসের। সেই দিনই মারা যান। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। প্রয়াত পুজারীর দেহ তাঁর বাসভবন থেকে পালকিতে করে সরযূ নদীর তীরে নিয়ে যাওয়া হয়।
অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস ( Satyendra Das) প্রয়াত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরযূ নদীতে 'জল সমাধি'র ( Jal Samadhi) মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে তাঁর শেষকৃত্য। সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (viral video) হয়েছে। অনেকেই শ্রদ্ধার সঙ্গে বিদায় জানিয়েছেন রামমন্দিরের প্রধান আচার্যকে। অনেকেই আবার সমালোচনা করেছেন গোটা ঘটনার। অনেকে বলেছেন, প্রয়াত প্রবীণ পুরোহিতের দেহ যেভাবে একটি ভারি বস্তুতে বেঁধে জলে ফেলা হয়েছে তা যথেষ্ট অমানবিক। পাশাপাশি এই ঘটনা পরিবেশ বিরোধী বলেও দাবি করেছেন অনেকে।
বুধবার ব্রেন স্ট্রোক হয় পুজারী সত্যেন্দ্র দাসের। সেই দিনই মারা যান। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। প্রয়াত পুজারীর দেহ তাঁর বাসভবন থেকে পালকিতে করে সরযূ নদীর তীরে নিয়ে যাওয়া হয়। তুলসীঘাটে নৌকায় তোলা হয় দেহ। মাঝনদীতে জলসমাধি করা হয়। সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দেখুন সেই ভিডিওঃ
সত্যেন্দ্র দাসের উত্তরসুরী প্রদীপ দাস জানিয়েছেন, রামানন্দী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য অনুসারে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। জল সমাধির অংশ হিসেবেই সত্যেন্দ্র দাসের দেহ একটি ভারী পাথরের সঙ্গে বেঁধে মাঝ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তবে এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই সমালোচনা শুরু করেছে। যদিও অযোধ্যার সাধু সন্তদের অনেকেই বলেছেন এটা বহু প্রাচীন প্রথা। তবে এখন অনেকেই এই প্রথা মানে না। প্রাচীন ভারতে অনেত সম্প্রদায়ের মধ্যেই জল সমাধির রীতি ছিল। সাধুদের কথায় অযোধ্যার রাজা রামচন্দ্রও নাকি সরযূতেই বিলীন হয়ে গিয়েছিলেন।
সত্যেন্দ্র দাস দীর্ঘ দিন ধরেই রামজন্মভূমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের আগে থেকেই সত্যেন্দ্র দাস রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ছিলেন। যদিও সেই সময় একটি অস্থায়ী তাঁবুতে রামলালার মূর্তি রেখে পুজো করা হত। তিনি মোদী সরকারের গঠন করা অযোধ্যা ট্রাস্টেরও অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি নির্মোহী আখড়ার একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। ২০ বছর বয়সেই তিনি আধ্যাত্মিক সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
