সংক্ষিপ্ত
অসম পুলিশকে প্রেসিডেন্টস কালার সম্মান দেওয়ার পর এক বক্তব্যে এই আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন "আসামে AFSPA-এর অধীনে থাকা এলাকাগুলি হ্রাস করা হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করব যে রাজ্যের সমস্ত এলাকা থেকে AFSPA সরানো হবে।"
অসম সফরে প্রতিশ্রুতির বন্যা। তারমধ্যেই মিলল বড় খবর। মঙ্গলবার অর্থাৎ ১০ই মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করলেন যে সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন (AFSPA) শীঘ্রই সমগ্র অসম থেকে প্রত্যাহার করা হবে, কারণ আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে গোটা রাজ্যেই। তাই আফস্পা জারি রাখার প্রয়োজনীয়তাও ধীরে ধীরে কমে এসেছে রাজ্যের অনেক জায়গাতেই।
অসম পুলিশকে প্রেসিডেন্টস কালার সম্মান দেওয়ার পর এক বক্তব্যে এই আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন "আসামে AFSPA-এর অধীনে থাকা এলাকাগুলি হ্রাস করা হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করব যে রাজ্যের সমস্ত এলাকা থেকে AFSPA সরানো হবে।" তিনি নিজের বক্তব্যে আরও যোগ করেন যে "১৯৯০-এর দশকে, অসমে AFSPA প্রয়োগ করা হয়েছিল, এটির মেয়াদ সাতবার বাড়ানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৮ বছরের শাসনের পরে, রাজ্যের ২৩টি জেলাকে AFSPA-মুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ অসমে এখন ৬০ শতাংশের বেশি এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আফস্পা"
উল্লেখ্য, দুদিনের সফরে অসমে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। আগের দিন তিনি মানকাচার সেক্টর থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন এবং বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অপারেশনাল কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন- মাত্র ৮০ মিটার দূর থেকেই গ্রেনেড চালিত রকেট হামলা, উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা পঞ্জাবের গোয়েন্দা অফিস
আরও পড়ুন- নিহত দানিশ সিদ্দিকিসহ চার ভারতীয়কে পুলিৎজার সম্মান, এই ছবির জন্যই সেরা হলেন তাঁরা
আরও পড়ুন- অশনি থেকে আমফান-এক এক নামের ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ওডিশা-বাংলা, কীভাবে নাম রাখা হয় ঝড়ের?
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও অসমে আফস্পা প্রত্যাহার নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন রাজ্যে হিংসার ঘটনা ৭৫ শতাংশ কমেছে। আমরা নাগাল্যান্ড- মনিপুরে আফস্পা অর্থাৎ আর্মড ফোর্সড অ্যাক্ট লঘু করার চেষ্টা করছি। আসামে স্থায়ীভাবে শান্তি এসেছে, যাতে কিনা বিজেপির ডবল ইঞ্জিনের সরকারের প্রভাব স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আসামের ২৩ টি জেলা থেকে সশস্ত্র বাহিনী আইন অর্থাৎ আফস্পা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ভালোভাবে মেনে চলায়, আমরা উত্তর-পূর্বের অনেক এলাকা থেকে সশস্ত্র বাহিনী আইন সরিয়ে দিয়েছি বলে জানিয়েছেন মোদী। তিনি বলেন, সরকার আসামের কার্বি আংলং এবং ত্রিপুরার শান্তি চুক্তিতে প্রবেশ করেছে। যখন সমগ্র অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি এবং উন্নয়ন নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চলছে।
সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনটি - নিরাপত্তা বাহিনীকে যে কোনও স্থানে অভিযান চালাতে ও পূর্ব কোনও পরোয়ানা ছাড়াই কাউকে গ্রেফফার ও জিজ্ঞাসাবাদের বিশেষ ক্ষমতা দেয়। কোনও ভুল অপারেশন বা ধরপাকড়ের ক্ষেত্রে এই বিশেষ আইন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের রক্ষকবজেরও কাজ করে। অমিত শাহ বলেছেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন-এর অধীনে এলাকা হ্রাস সংশ্লিষ্ট এলাকায় দ্রুত হারে উন্নতির কারণেই সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে- তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে।