সংক্ষিপ্ত
যমুনোত্রী ও গঙ্গোত্রী ধামে ১৪ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এগুলি ছাড়াও কেদারনাথে পাঁচজন এবং বদ্রীনাথে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
চলতি বছরে চারধাম যাত্রায় একের পর এক বিপত্তি। তেসরা মে চারধাম যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে যে এই তীর্থযাত্রীরা শারীরিক ভাবে বেশ অসুস্থ ছিলেন। তাঁদের অনেকেরই হার্টের সমস্যা এবং উচ্চ উচ্চতার অসুস্থতার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন বলে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। যমুনোত্রী ও গঙ্গোত্রী ধামে ১৪ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নেপালি শ্রমিকও রয়েছেন। এগুলি ছাড়াও কেদারনাথে পাঁচজন এবং বদ্রীনাথে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এভাবে ছয় দিনে ২০ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু যাত্রার আয়োজক ও প্রশাসনকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
তীর্থযাত্রীদের কেদারনাথ ও যমুনোত্রী ধামে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়। উঁচু এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী পথচারীদের ঠান্ডায় অক্সিজেনের অভাব হয়। এমতাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার,অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত রোগীদের পায়ে হেঁটে যাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কোভিড মহামারীর কারণে দুই বছর পর, চারধাম যাত্রা পরিচালিত হচ্ছে। কেদারনাথ, বদ্রিনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী ধামগুলিতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি তীর্থযাত্রী দর্শনের জন্য পৌঁছেছেন, যার কারণে ধামগুলিতে বিশৃঙ্খলার সম্মুখীন হচ্ছেন ভক্তরা। এবার যাত্রা শুরুর ছয় দিনের মধ্যে হঠাৎ পায়ে হেঁটে মারা গেছেন ২০ জন পুণ্যার্থী। এর মধ্যে সোমবার তিনজন তীর্থযাত্রীর মৃত্যুও রয়েছে।
চারধাম যাত্রায় এখনও পর্যন্ত হঠাৎ করে বহু যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। যমুনোত্রীতে আটজন, গঙ্গোত্রীতে দুজন এবং কেদারনাথে পাঁচজন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। যাতায়াতের রুটে স্বাস্থ্য সেবার জন্য চিকিৎসক, প্যারামেডিক্যালের দল মোতায়েন করা হয়েছে। যাতায়াতের রুটে মেডিকেল ইউনিটে চিকিৎসকসহ ওষুধ, অ্যাম্বুলেন্সের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উচ্চ উচ্চতায় অক্সিজেনের অভাবে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কোনো ভ্রমণকারী যদি আগে থেকেই কোনো রোগে ভুগে থাকেন, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মেডিক্যাল চেকআপ করে ভ্রমণ করা উচিত। উল্লেখ্য, চারধাম যাত্রার জন্য ৩ মে খুলে দেওয়া হয়েছে গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রীর মন্দির। কেদারনাথ ও বদ্রীনাথের মন্দিরের দরজা খোলা হয়েছে, ৬ ও ৮ মে। রাজ্যের প্রশাসনের আশা পূর্ণ করে কোভিড বিধি তুলে নেওয়ায় এবছর প্রচুর মানুষ চারধাম তীর্থযাত্রায় গিয়েছেন। অধিকাংশ হোটেল ও ধর্মশালা আগে থেকেই বুক করা হয়েছে। এই রাজ্যটির আর্থিক সংস্থান অনেকাংশে পর্যটনের ওপর নির্ভর করে।
আরও পড়ুন- মাত্র ৮০ মিটার দূর থেকেই গ্রেনেড চালিত রকেট হামলা, উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা পঞ্জাবের গোয়েন্দা অফিস
আরও পড়ুন- নিহত দানিশ সিদ্দিকিসহ চার ভারতীয়কে পুলিৎজার সম্মান, এই ছবির জন্যই সেরা হলেন তাঁরা
আরও পড়ুন- অশনি থেকে আমফান-এক এক নামের ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ওডিশা-বাংলা, কীভাবে নাম রাখা হয় ঝড়ের?