সংক্ষিপ্ত
এল নিনোর প্রভাবে বড় পরিবর্তন আসতে পারে বিশ্বের আবহাওয়ায়। ভারতেও কৃষিক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলতে পারে এই এল নিনো।
চলতি বছরে জুন মাসের শুরুর দিকে প্রবল তাপপ্রবাহ চলেছে দেশজুড়ে। বর্ষা নির্বারিত সময়ের থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ পিছিয়ে যাওয়ায় জুনের শুরুতে বৃষ্টির ঘাটতিও হয়েছিল বেশ খানিকটা। এই গোটা ঘটনার এল নিনো নামক উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আগামী দিনে আরও সক্রিয় হতে পারে এল নিনো। বিভিন্ন আবহাওয়া মডেল অনুযায়ী, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই অতি সক্রিয় হয় উঠবে এই স্রোত। শুধু ভারতে নয়, এল নিনোর প্রভাবে বড় পরিবর্তন আসতে পারে বিশ্বের আবহাওয়ায়। ভারতেও কৃষিক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলতে পারে এই এল নিনো।
অনিয়মিত বৃষ্টি আবহাওয়ার খামখেয়ালির জন্য এই এল নিনোকেই দায়ী করছে আবহাওয়াবিদরা। এমনকি এল নিনোর প্রভাবে ভারতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পূর্বাভাসও দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন এল নিনোর প্রভাবে কেবল উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া তৈরি হতে পারে তাই নয়, এর প্রভাবে টানা বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকে। এল নিনো কোথাও খরা আবার কোথাও বন্যা আনার ক্ষমতা রাখে।
কী এই 'এল নিনো'?
স্প্যানিশ শব্দ এল নিনো, যার অর্থ ছোট ছেলে। এল নিনো একটি উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোত। যার প্রভাবে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে একাধিক দেশের আবহাওয়ায়। ২০১৫ সালে প্রথম প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা মিলেছিল এই এল নিনোর। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে ২০২৩ সালে ফের ফিরে আসতে সেই গরম স্রোত এল নিনো। যার ফলে জুলাই মাসে বর্ষার উপর পড়তে পারে বিরুপ প্রভাব।
চলতি বছরে দেশে বর্ষা প্রবেশে যথেষ্ট বিলম্ব হয়েছে। তবে দেরিতে হলেও গরম থেকে মিলেছে স্বস্তি। মৌসম ভবন জানিয়েছিল স্বাভাবিক ভাবেই পড়বে বর্ষা। কিন্তু এরই মধ্যে 'এল নিনো'-এর আশঙ্কায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিশেষজ্ঞরা। 'এল নিনো'-এর প্রভাবেই কি প্রখর তাপে পুড়তে পারে ভারত? ভারতে সাধারণত জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করে। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত থাকে বর্ষার স্থায়ীত্ব। তবে আমেরিকার ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের গবেষকদের দাবি এই বছর এই সময়ই তৈরি হতে পারে শক্তিশালী 'এল নিনো'। যার প্রভাবে প্রবল গরম পড়তে পারে দেশজুড়ে।