সংক্ষিপ্ত
- উত্তরাখণ্ডে প্রকৃতিক বিপর্যয়ের মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের
- উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েক জনের নিহর দেহ
- হিমবাহ ফেটে গেয়ে এই বিপর্যয়
- খড়কুটোর মত ভাসিয়ে নিয়ে গেল সবকিছু
রবিবার সকালটা একদম অন্যরকমের। প্রকৃতির তাণ্ডেবে বিপর্যস্ত হয়ে যায় উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলা। প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে বিশাল হিমবাহ ফেটে যায়। যার জেরে অনকান্দা ও ধৌলিগঙ্গা নদীর জল আচমকাই বেড়ে যায়। জল এতটাই বেড়ে যায় যে ভাসিয়ে নিয়ে যায় নদীর দুই কূল। প্রবল জলের স্রোতের সামনে খড়কূটোর মতই ভেসে যায় কংক্রিটের দেওয়াল, ঘরবাড়ি, গালপালা এমনকি মানুষজনও। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেউ উদ্ধার হতে শুরু করে একের এপর এক নিথর দেহ। বিপর্যস্ত চামোলি জেলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ভারত তিব্বত সীমান্ত পুলিশের জওয়ানদের সঙ্গে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরাও উদ্ধারকাজে নামে।
প্রবল জলোচ্ছাসের কারণে ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি একটাই সংকট জনক যে আসপাশের গ্রামগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় হাজার খানের গ্রামবাসীকে। জরুরি ভিত্তিসে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আটকে পড়াদের উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করতে ভারতীয় বিমান বাহিনীও যোগ দিয়েছে। অনেককেই উড়িয়ে আনা হচ্ছে সমতলে।
আইটিবিপি জানিয়েছে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে এই বিপর্যয়। যা বেশ পার্বত্য এলাকার বেশ কয়েকটি জলাধার ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। নদীতীরবর্তী জনপদেও রেখে গেছে ধ্বংসলীলার চিহ্ন। যদিও অনেকেই দাবি করেছেন,বরফ ফেটেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি বুঝতে প্রথমেই জানা দরকার, হিমশৈ বিপর্যয় কী আর এটি কেন ঘটে?
হিমবাহ ভেঙে তুষার ধস আর জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত চামোলি, ছবিতে দেখুন প্রকৃতির রুদ্র রূপ ...
ফেলুদার পর করোনার সন্ধানে RAY, জাবাণুর নতুন রূপের সন্ধান দেবে বলেই দাবি বিজ্ঞানীদের ...
বন্যার সূত্রপাত
চামোলি পুলিশের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাপোবন এলাকায় একটি হিমবাহ ভেঙে গিয়ে ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার জেরে অলোকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গার তীরবর্তী বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হিমবাহ আউটব্রাস্ট বন্যা কী
এটি হল হিমবাহ লেকের বিস্ফোরণ। যার বহিপ্রকাশ হয় বন্যার মাধ্যমে। মোড়াইন দ্বারা বাঁধানো জল ছেড়ে দিলে এই বিপর্যয় ঘটে।
কখন এটি ঘটে
বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পিছনে। হিমবাহ ক্ষয়ে গেলে এটি ঘটতে পারে। অত্যাধিক তুষারপাত বা শিলাবৃষ্টির কারণে এটি হতে পারে। বরফের স্তরের নিচে ভূমিকল্প হলেও হিমবাহে ভাঙন দেখা দিতে পারে।
এই বিপর্যয়ের কারণে হিমবাহ হ্রদগুলির আয়তনে পরিবর্তন হতে পারে। কারণ এই হ্রদগুলি লক্ষ লক্ষ থেকে কয়েক মিলিয়ন ঘনমিটার জল ধরে রাখে। কিন্তু এই জাতীয় বিপর্যের ফলে কয়েক মিনিট বা কয়েক ঘণ্টায় এই হিমবাহ হ্রদের বরফ গলে জল হয়ে নিচে প্রবাহিত হয়ে। ভাসিয়ে নিয়ে যায় গতিপথের দুইধার। বিশেষজ্ঞদের মতে হিমবাহ হ্রদের এই বন্যার কারণ হল প্রবল বৃষ্টিপাত বা তুষারপাত অথবা ভূমিকল্প. ক্যাসকেডিং প্রক্রিয়া বা দীর্ঘমেয়াদী বাঁধের অবক্ষয় বা হ্রদের ঢালে ক্ষয়।