হিমবাহ ভেঙে তুষার ধস আর জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত চামোলি, ছবিতে দেখুন প্রকৃতির রুদ্র রূপ
- FB
- TW
- Linkdin
হিমবাহ ভেঙে গিয়ে তুষার ধস আর হড়পা বানে বিদ্ধস্ত হয়ে গেল উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলা। রবিবার সকালে জোশীমঠের কাছে একটি হিমবাহ ভেঙে যায়। তার প্রভাবে জলস্তর বাড়তে থাকে অলোকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গার। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে নদী সংলগ্ন একের পর এক গ্রাম ভেসে যায়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
১০০-১৫০ জন মানুষ মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে আসপাশের বাসিন্দাদের। কয়েকশো মানুষ আটকে পড়েছে বলেও জানান হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে। উদ্ধার কাজে নেমেছে ভারত তিব্বত সীমান্ত পুলিশ বাহিনী বা আইটিবিপির ২০০ জওয়ান।
প্রাকৃতির এই দুর্যোগের কারণে চামোলি থেকে হৃশীকেশ যাওয়ার রাস্তা জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। এদিন সকালে অন্যদিনের মতই ঋষিগঙ্গা পাওয়ারগ্রিড প্রকল্পের কাজ চলছিল। সেই সময় ১৫০ শ্রমিক সেখানে কাজ করেছিলেন। ঘটনার পর থেকে তাদের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। জলের তোড়ে তারা ভেসে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়েছে ঋষিগঙ্গা পাওয়ারগ্রিড প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে জলোচ্ছাসের কারণে।
আইটিবিপির জওয়ানদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাঁচটি দল। প্রয়োজনে আরও কর্মী নিয়োগ করা হবে বলেও জানান হয়েছে এনডিআরএফ-এর তরফ থেকে। উদ্ধারকারে নেমেছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলার বাহিনীর ২০০ জন। উত্তরাখণ্ডে বেশ কয়েকটি রাস্তা ও রেল পথ নির্মাণের কাজ করছে। সেই কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অলোকানন্দ ও ধৌলিগঙ্গা নদীর তীরবর্তী গ্রমগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। বিষ্ণুপ্রয়াগ, যোশীমঠ, কর্ণপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, হৃষিকেশ এমনকি হরিদ্বারেও নদীর তীরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অসম ও পশ্চিমবঙ্গ সফরে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সফররত অবস্থায় গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন তিনি। কথা বলেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াত ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি দুর্ভাগ্যজনক। পরিস্থিতি নিয়ে তিনি ওয়াকিবহাল। গোটা ভারত উত্তরাখণ্ডের পাশে রেয়েছে। উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করা হচ্ছে। উদ্ধার থেকে ত্রাণ সকল বিষয়ে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে কোনও রকম গুজব ও আতঙ্ক না ছড়ানোর আবেদনও জানান হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।