সংক্ষিপ্ত

  • হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে কেন্দ্র
  • হাইকোর্টে নতুন করে হলফনামা জমা দিল কেন্দ্র
  • গ্রাহক বিরোধী কাজকে উৎসাহ দিচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ
  • গ্রাহকদের নয়া নীতি গ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছে

নতুন ডিজিটাল আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের টানাপোড়েন চলছেই। তার সঙ্গেই এবার হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসির বিরুদ্ধে ফের দিল্লি হাইকোর্টে গেল কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ। বৃহস্পতিবার এই পলিসির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে নতুন করে হলফনামা জমা দেয় কেন্দ্র। অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ চালাকি করে গ্রাহকদের কাছ থেকে এই পলিসির অনুমতি নিয়ে গ্রাহক বিরোধী কাজকে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। 

আরও পড়ুন- ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, পুলওয়ামায় জঙ্গিদের গুলিতে BJP নেতার মৃত্যু

চলতি বছরের জানুয়ারিতে নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে আসে হোয়াটসঅ্যাপ। তারপর থেকেই তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আগে থেকে প্রাইভেসি পলিসি থাকা সত্ত্বেও কেন নতুন পলিসি নিয়ে আসা হচ্ছে তা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। এছাড়া নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে এর আগে হোয়াটসঅ্যাপকে নোটিশ পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা অটুট থাকবে না বলে আশঙ্কা করেছিল কেন্দ্র। যদিও গ্রাহকের গোপনীয়তা সব সময় বজায় রাখা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ। এরপর হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়, নয়া এই নীতি স্বীকার করার জন্য গ্রাহকদের বার বার নোটিফিকেশন পাঠানো হবে। তার পরেও যদি কেউ এই নীতি স্বীকার না করেন, তাহলেও গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের কোনও সমস্যা হবে না। আর এখানেই আপত্তি জানিয়েছে কেন্দ্র। 

সরকারের অভিযোগ, নিজেদের ডিজিটাল ক্ষমতাকে ব্যবহার করে গ্রাহকদের নয়া নীতি গ্রহণ করতে বাধ্য করছে হোয়াটসঅ্যাপ। এমনকী, নোটিফিকেশনও পাঠানো হচ্ছে। এভাবে নোটিফিকেশন পাঠানো থেকে যাতে হোয়াটসঅ্যাপকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয় তার জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।