Pakistan: আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতি কার? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করার পাকিস্তানের সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় বিমানগুলিকে দীর্ঘ রুট ব্যবহার করতে হবে, যার ফলে ভ্রমণের সময় এবং ভাড়া বৃদ্ধি পাবে। এর আগেও ২০১৯ সালে বালাকোট হামলার পর একই পদক্ষেপ নিয়েছিল, যা পরে প্রত্যাহার করেছিল।
তীব্র অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন পাকিস্তান
তবে ভারতের গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একদিকে, তীব্র অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন পাকিস্তান, প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থার নামে তার দেশের অর্থনীতিকে আরও খারাপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত
পাকিস্তান ভারতীয় বিমানের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে ভারত থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক বিমানগুলির উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের কী প্রভাব পড়বে? এবার আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বর্ধিত বিমানের সময় এবং ভাড়া:
ভারতীয় বিমানগুলি পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করত, বিশেষ করে উত্তর ভারত থেকে পশ্চিমা দেশগুলিতে উড়ার সময়। এখন রুটটি বন্ধ থাকায়, বিমানগুলিকে আরব সাগরের উপর দিয়ে রুট পরিবর্তন করতে হচ্ছে। এর ফলে প্রতিটি ফ্লাইটে গড়ে ২-২.৫ ঘন্টা অতিরিক্ত ভ্রমণ সময় লাগবে। জ্বালানি খরচ এবং পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে টিকিটের দাম ৮% থেকে ১২% বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
ভ্রমণের সময় বৃদ্ধি
অতিরিক্তভাবে, যাত্রীদের সংযোগকারী ফ্লাইট মিস করার সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে সামগ্রিক ভ্রমণের সময় বৃদ্ধি পাবে। জ্বালানি খরচ বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীদের উপর বোঝা চাপবে। ভ্রমণের সময় বৃদ্ধির ফলে দীর্ঘ যাত্রার অসুবিধা হয়।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণের বৃদ্ধির হার কম
এটি অবশ্যই ভারতীয় বিমান পরিবহন খাতের উপর প্রভাব ফেলবে। উচ্চ পরিচালন ব্যয়ের কারণে বিমান সংস্থাগুলি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণের বৃদ্ধির হার কম হতে পারে।
পাকিস্তানের কী সমস্যা হতে পারে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত সেই দেশের জন্যও সমস্যা তৈরি করবে। সাধারণত, পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করে এমন প্রতিটি বিমানকে পাকিস্তানকে একটি নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়। এর ফলে পাকিস্তানের রাজস্ব আয় হবে। পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে যাতায়াতকারী বেশিরভাগ ফ্লাইটের জন্য ভারতীয় বিমান দায়ী।
রাজস্ব হ্রাস পাবে ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি
এখন যেহেতু ভারতীয় বিমানগুলি আর সেই রুটে উড়ছে না, তাই দূরত্বের কারণে সেই রাজস্ব হ্রাস পাবে। যদি ভারতের মতো আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলি পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে তাদের ফ্লাইট কমিয়ে দেয়, তাহলে তাদের আরও অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে।
ভারতীয় পাইলটদের গুলি করে পাকিস্তানি বিমান
পাকিস্তানের আকাশসীমায় ভারতীয় বিমানের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বালাকোট হামলার পর পাকিস্তান এর আগে তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল।
ভারতীয় বিমানের যাত্রাপথ
সেই সময়ে কয়েক মাসের জন্য ভারতীয় বিমানের যাত্রাপথ ব্যাপকভাবে ঘুরিয়ে দিতে হয়েছিল। এরপর, রাজস্ব প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান পুনর্গঠন করতে বাধ্য হয়।
ভারতীয় বিমান পরিবহন
পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় বিমান পরিবহন খাতের জন্য তাৎক্ষণিক সমস্যার সৃষ্টি করলেও, দীর্ঘমেয়াদে এটি পাকিস্তানের জন্য আরও বেশি ক্ষতির কারণ হবে। পাকিস্তান কি অতীতের মতো তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে? সে কি এভাবে একগুঁয়ে আচরণ করছে? অবশ্যই দেখতে হবে।

