সংক্ষিপ্ত

জ্বলন্ত আফগানিস্তানের দমবন্ধ পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসেই আহ্লাদে আটখানা একটি শিশু। কাবুল ছেড়ে বাবা মায়ের সঙ্গে ভারতে এসেছে শিশুটি। 
 


১০৭ জন ভারতীয় দুই আফগান সেনেটরসহ ১৬৮ জনকে রবিবার তালিবান অধিকৃত আফগানিস্তান থেকে বিশেষ বিমানে করে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমান C-17এ এয়ারলিফট করা হয়েছিল। যাত্রীদের মধ্যে দুটি শিশুও ছিল। বিমানটি দিল্লির কাছে গায়িয়াবাদ বিমান বন্দরে নিরাপদেই অবতরণ করে। সেই বিমানেই একটি ছবি প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। তাতেই দেখা যাচ্ছে এক অবুঝ শিশু তালিবানদের হাত থেকে রেহাই পেয়ে মুক্তির আনন্দে মেতে উঠেছে। 

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে বিমানে উঠেই খুশিতে প্রায় আত্মহারা হয়ে গেছে। মায়ের কোলে ছোট্ট বোনকে খুশির আদরে ভরিয়ে দিয়েছে। বারবার  চুমু খাচ্ছে। তবে তার ছোট বোন এতটাই ছোট যে সে কিছুই বুঝতে পারছে না। কিন্তু বিমানের আওয়াজে সে কিছুটা হতভম্ব হয়ে গেছে। যা রীতিমত  মন ছুঁয়ে গেছে দর্শকদের। তবে শিশুদুটির মায়ের চোখে মুখে তখনও আতঙ্কের রেশ ছিল। তালিবানদের ভয়াবহতা হয়তে এই মা কোনও দিনও ভুলতে পারবেন না। 

Viral Video: কোটি কোটি টাকার আমেরিকার অস্ত্রে বলিয়ান তালিবানরা, মার্কিন সেনাদের নকল করে ভিডিও ছড়াচ্ছে

গতরবিবার কাবুলের পতন হয়েছে। মুখে শান্তির কথা বললেনও তালিবানরা যে তাদের পুরনো রূপেই ফিরছে তা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল সোমবার থেকেই। বন্দুক উঁচিয়ে কাবুলের রাস্তায় তালিবানদের ঘুরে বেড়়ানোর দৃশ্য গত কয়েক দিনে একাধিকবার সামনে এসেছে। আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন নতুন করে জারি হচ্ছিল তা আবারও স্পষ্ট হয়ে যায়। সেই মধ্যযুগীত অত্যাচারের আতঙ্কতে অন্যান্য অনেক পরিবারের মত এই পরিবারও দিন কাটিয়েছেন। তারপরই আফগানিস্তান ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তালিবানদের নজর এড়িয়ে  কাবুল বিমান বন্দরে আসাও যে খুব একটা সহজ ছিল না তা হয়তো বুঝতে পেরেছিল ছোট্ট মেয়েটি। তাই ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমানে উঠেই ছোট্ট বোনকে জড়িয়ে ধরে বারবার চুমু খেয়ে নিজের মুক্তির কথা জানিয়েছিল। 

তালিবানি শাসনে রোজই রক্তাক্ত হচ্ছে আফগানিস্তান, ব্রিটেন জানিয়েছে কাবুল বিমান বন্দরের বাইরে নিহত ৭

অন্য এক আফগান মহিলাও এই বিমানে ছিলেন। যিনি ভারতের মাটি স্পর্শ করেই ভারতীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন ভারতীয় ভাইয়েরা তাঁকে উদ্ধার করেছে। তালিবানরা তাঁর বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল। তাই দুই মেয়ে আর নাতি নাতনিকে নিয়ে তিনি মাতৃভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।  

YouTube video player