সংক্ষিপ্ত

বিবাহিত মহিলার গর্ভে থাকা ২৬ সপ্তাহের ভ্রূণকে শেষ করার আদেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনের শুনানিকালে সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। এক দিন আগে সোমবার, অন্য একটি বেঞ্চ AIIMS ডাক্তারকে মহিলার ২৬ সপ্তাহের ভ্রূণকে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একজন মহিলার গর্ভপাত করা উচিত কিনা সে বিষয়ে অন্য বেঞ্চের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের অধিকার নিয়ে বড় মন্তব্য করে ডিভিশন বেঞ্চ আরও বলেছে যে মেয়েটি বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত হোক, নিরাপদ গর্ভপাতের আইনি অধিকার তার রয়েছে।

বিবাহিত মহিলার গর্ভে থাকা ২৬ সপ্তাহের ভ্রূণকে শেষ করার আদেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনের শুনানিকালে সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। এক দিন আগে সোমবার, অন্য একটি বেঞ্চ AIIMS ডাক্তারকে মহিলার ২৬ সপ্তাহের ভ্রূণকে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল।

এদিন শুনানির আগে, আদালতের কক্ষের পরিবেশ বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে যখন বিচারপতি বিভি নাগারথনা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে উপস্থিত অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বরিয়া ভাটির উপর ক্ষুব্ধ হন। বিচারপতি নাগারথনা এএসজি ভাটিকে ভর্ৎসনা করে বলেছিলেন যে আমরাও সুপ্রিম কোর্ট। আপনার সেটা মনে রাখা উচিত। প্রকৃতপক্ষে, বিচারপতি নাগারথনা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে কেন কেন্দ্রীয় সরকার তার বেঞ্চের দেওয়া একটি সিদ্ধান্তকে প্রত্যাহার করার জন্য সরাসরি প্রধান বিচারপতির কাছে একটি পিটিশন দাখিল করেছে, যেখানে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে, রিভিউ পিটিশনটি প্রথমে তার বেঞ্চে দাখিল করা উচিত ছিল।

উল্লেখ্য, সোমবার (৮ অক্টোবর) বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি বিভি নাগারথনার সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ মহিলার গর্ভে থাকা ২৬ সপ্তাহের ভ্রূণকে শেষ করার অনুমতি দিয়েছে।

মেডিকেল রিপোর্টে সন্তান জন্মের সম্ভাবনা

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি এএস বোপান্নার একটি বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে উপস্থিত অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) ঐশ্বরিয়া ভাটির অনুরোধের প্রেক্ষিতে এইমসকে বর্তমানে মহিলাটিকে গর্ভপাত না করতে বলেছে। ভাটি বেঞ্চকে জানান, মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট উপেক্ষা করে ওই মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মেডিক্যাল বোর্ড তাদের রিপোর্টে বলেছে, গর্ভে ভ্রুণ বেড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।