সংক্ষিপ্ত

ভিডিওটিতে এক মহিলাকে গভীর মনোযোগের সঙ্গে ঘুঁটে দিতে দেখা গেছে। কিন্তু সেটা নতুন কোনও বিষয় নয়। গ্রামের পরিচিত দৃষ্যগুলির মধ্যে একটি। 


আর কিছুই নয়। ঘুঁটে দেওয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল। যা নিয়ে রীতিমত উত্তেজিত সোশ্যাল মিডিয়া। ভিডিওটি পোস্ট করেছেন ছত্তিশগড়ের আইএএস অফিসার অবনীশ শরণ। তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ভারচীয় বাস্কেটবল দল তাঁকে খুঁজছে। কিন্তু কী হয়েছে এই ভিডিওতে যা নিয়ে অবাক হয়েছে নেটবাসীরা। 

ভিডিওটিতে এক মহিলাকে গভীর মনোযোগের সঙ্গে ঘুঁটে দিতে দেখা গেছে। কিন্তু সেটা নতুন কোনও বিষয় নয়। গ্রামের পরিচিত দৃষ্যগুলির মধ্যে একটি। কিন্তু এখানে ফারাক তৈরি করে দিয়েছে যে দেওয়ালে মহিলা ঘুঁটে দিচ্ছেন সেটি। কারণ, তিনি লম্বা একটি দেওয়া ঘুঁটে দিচ্ছেন। আর সেগুলি যখন ছুঁড়ে দিচ্ছেন তখন একটিও ফসকায়নি। আর সেগুলি সুন্দরভাবে একই লাইনে পড়েছে। মহিলা যে এই বিষয়ে বিশেষ পারদর্শী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

ভিডিওটি মাত্র ১৫ সেকেন্ডের । কিন্তু ইতিমধ্যেই তার ভিউয়ার সংখ্যা ১য়৫ মিলিয়ন। ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ লাইক করেছেব।  নেটিজেনরা রীতিমত প্রশংসায় পঞ্চমুখ গ্রামের নাম না জানা মহিলার। অনেকেই বলেছেন এমন অনেক প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে- শুধুমাত্র আবিষ্কারের প্রয়োজন রয়েছে। আর একজন মহিলার টার্গেট আর ফোকাসের তারিফ করেছেন। 

কয়েক দশক ধরে ভারতে রান্নার জ্বালানি হিসেবে গোবরের ঘুঁটে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গোবর দিয়ে গ্যাসও উৎপাদন হয় অনেক জায়গায়। সেই গ্যাসে আলো জ্বলে আবার রান্নাও করা যায়। কিন্তু গোবরের ঘুঁটে অনেকেই উনুন জ্বালতে ব্যবহার করেন। গোরেহাব্বা নামে পরিচিত একটি উত্সব রয়েছে, যা কর্ণাটকের একটি গ্রামে উদযাপিত হয় যেখানে অংশগ্রহণকারীরা একে অপরের গায়ে গোবর নিক্ষেপ করে।গ্রামে দীপাবলির ছুটির শেষে একটি ঐতিহ্যবাহী আচারের অংশ হিসাবে আনন্দিত জনতা একে অপরকে মুষ্টিবদ্ধ গোবর দিয়ে ছুঁড়ে মারে।বিকালে গবাদিপশুসহ বাড়ি থেকে গোবর সংগ্রহের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব।ট্রাক্টর ট্রলিগুলি স্থানীয় মন্দিরে গোবর পরিবহন করে, যেখানে একজন পুরোহিত একটি ছোট আচার পালন করেন। তারপর গোবরটি একটি খোলা জায়গায় রাখা হয়, যেখানে পুরুষ এবং ছেলেরা সামনের যুদ্ধের জন্য তাদের অস্ত্র প্রস্তুত করার জন্য হেঁটে যায়।