সংক্ষিপ্ত
উদয়পুরের খুনিদের বাইক চিহ্নিত করে রীতিমত চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে। দর্জি খুনে অন্যতম অভিযুক্ত রিয়াজ আখতারির মোটরবাইক নম্বর ২৬১১।
উদয়পুরের দর্জি খুনের ঘটনায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের হাত রয়েছে। রাজস্থানের পুলিশের হাতে এসেছে তেমনই জোরালো তথ্য। সম্প্রতি রাজস্থান থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে আইএস জঙ্গি সেলের এক চাঁইকে। তারপরই উদয়পুরের খুনিদের বাইক চিহ্নিত করে রীতিমত চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে। দর্জি খুনে অন্যতম অভিযুক্ত রিয়াজ আখতারির মোটরবাইক নম্বর ২৬১১। যা মুম্বই হামলাকে চিহ্নিত করে। পুলিশ সূত্রের খবর খুনি অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে বাইকের জন্য এই নম্বর প্লেট তৈরি করেছিলেন। এই গাড়িতে চড়েই গোস মোহম্মদ আর রিজায় আখতারি দর্জি কানাইলাল লালকেকে খুন করতে এসেছিল। তারা কানাইলালের গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।
রাজস্থান পুলিশ জানিয়েছে রেজিস্ট্রেশন নম্বর RJ 27 AS 2611 র বাইকটির বর্তমান ঠিকানা উদয়পুরের ধানমান্ডি থানা। পুলিশ জানিয়েছেন রিয়াজ ২৬১১ এই নম্বর প্লেটটি দীর্ঘ দিন ধরেই দাবি করে আসছিল রেজিস্ট্রেশন অফিসে। আর এর জন্য ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছিল। সূত্রের খবর দূর্ঘ দিন ধরেই রিয়াজ আর মহম্মদ ছক খষেই দর্জি কানাইলালকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
পুলিশের দাবি রিয়াজ ২০১৪ সালে এই বাইকের নম্বর প্লেট নিয়েছিল। এই বছরই রিয়াজ নেপালে গিয়েছিল। তার মোবাইলে ফোনের ডেটা তেমনই বলছে। পাওয়া গেছে রিয়াজের পাসপোর্টও। রিয়াজ একাধিকবার পাকিস্তানে ফোন করেছে বলেও সেই তথ্য পাওয়া গেছে।
দিনেদুপুরে কানাইলালকে হত্যার পর রিয়াজ ও মোহম্মদ বাইকে করে চম্পট দেয়। বাইকটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। উদয়পুর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে রাজসামন্দ ডেলার একটি পুলিশ ব্যারিকেটের কাছে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর থেকেই বাইক সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করছে পুলিশ। রিজিওনাল ট্রান্সফোর্ট অফিসের রেকর্ড থেকে জানা গেছে রিয়াজ আখতারি ২০১৩ সালে HDFC থেকে লোন করে বাইক কিনেছিল এর বীমা ২০১৪ সালে শেষ হয়েছে।
কানাইলালের শরীরে ২৬টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রত্যেকটাই ছুরির আঘাত। এই ঘটনা সামনে আসার পর রাজস্থানের পুলিশে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। ৩২জন আধিকারিককে বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে দুই অভিযুক্তকেই ১৪ জিনের জেল হেফাজতে পাঠান হয়েছে।
নিহত দর্জি বছর ৪০এর কানাহাইয়াল্ল তেলি। উদয়পুরের ধানমাণ্ডিতে ভূত মহলের কাছে একটি দোকান রয়েছে তাঁর। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে দুই মোটরবাইক আরোহী তাঁর দোকানে চড়াও হয়। ধারাল অস্ত্র নিয়ে তেলির ওপর হামলা চালায়। পুলিশ জানিয়েছে মূলত গলা কেটে তেলিকে হত্যা করা হয়েছে। শরীরে কয়েকে একাধিক কোপানোর চিহ্ন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।