কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রীতিমত সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন এই শব্দগুলি তিনি উচ্চাকরণ করবেন বা ব্যবহার করবেন।

জুমলাজীবী, বাল বুদ্ধি, কোভিড স্প্রেডার, বিশ্বাসঘাতক, দূর্ণীতিগ্রস্ত, নাটক, ভণ্ডামি-সহ বেশ কয়েকটি শব্দ আগামী দিনে লোকসভা ও রাজ্যসভায় উচ্চারণ করা যাবে না। এই শব্দগুলিকে অসংদলীয় হিসেবে বিবেচিত করা হবে। লোসকভার সচিবালয়ের একটি নতুন পুস্তিকায় তেমনই ঘোষণা করা হয়েছে। পুস্তিকা অনুসারে বেশ কিছু শব্দ ব্যবহারের অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রীতিমত সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন এই শব্দগুলি তিনি উচ্চাকরণ করবেন বা ব্যবহার করবেন। আর সেইজন্য তাঁকে বরখাস্ত করার জন্য তিনি স্পিকারকেও আগেভাগেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রেখেছেন। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে ডেরেক জানিয়েছেন আর কয়েক দিনের মধ্যেই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হবে। তার আগেই সাংসদদের ওপর গ্যাগ অর্ডার জারি হয়েছে। এই সংসদে বক্তব্য রাখার সময় আমাদের মৌলিক শব্দগুলি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে না। এটি খুব লজ্জাজন। তিনি আরও বলেছেন এই সিদ্ধান্ত ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি বিশ্বাঘতকতা। দুর্ণীতিগ্রস্ত আর কপটতা। তিনি আরও জানিয়েছেন এই শব্দগুলি তিনি অবশ্যই ব্যবহার করবেন। আর এক জন্য তিনি স্পিকারের কাছে তাঁকে সাসপেন্ড করার চ্যালেঞ্জও জানিয়েছন। তিনি বলেছেন গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করবেন। 

আগামী ১৮ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদেরর বাদল অধিবেশন। তার আগেই কেন্দ্রীয় সরকার নয়া ফরমান জারি করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। তাতে বলা হয়েছে নৈরাজ্যবাদী, শকুনি, শ্বৈরাচারী, তানাশাহ, তানাশাহী, জয়চাঁদ. বিনাশপুরুষ, খাালিস্তানি, খুন সে খেতি - এই জাতীয় শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। বিতর্কের সময় কোনও সাংসদ যদি এই শব্দ উচ্চারণ করেন তাহলে তা রেকর্ড করা হবে না। তা সংসদের বই থেকে বাদ দেওয়া হবে। 

Scroll to load tweet…


যাইহোক, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এবং লোকসভার স্পিকারের শেষ কথা থাকবে শব্দ ও অভিব্যক্তি বাদ দেওয়া।
সংকলনে ২০২১ সালে ভারতের লোকসভা, রাজ্যসভা এবং রাজ্যের আইনসভাগুলিতে অসংসদীয় ঘোষণা করা শব্দ এবং অভিব্যক্তিগুলির উল্লেখ রয়েছে, পাশাপাশি ২০২০ সালে কিছু কমনওয়েলথ সংসদে অননুমোদিত।
তালিকায় বলা হয়েছে যে কিছু কিওয়ার্ড সংসদীয় কার্যক্রম চলাকালীন উচ্চারিত অন্যান্য অভিব্যক্তির সাথে একযোগে না পড়লে সংসদীয় নাও হতে পারে।


অভিব্যক্তির তালিকায় ইংরেজি বা হিন্দিতে উভয় কক্ষে সভাপতির বিরুদ্ধে করা কোনো অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা অসম সংসদীয় হিসাবে বিবেচিত হবে এবং সংসদের নথি থেকে বহিষ্কার করা হবে।

আরও পড়ুনঃ

অশোকস্তম্ভ বিতর্ক- জাতীয় প্রতীকের অপমান বলে তৃণমূলের আক্রমণ মোদী সরকারকে, মত দিল ডিজাইনাররা

সারনাথের সিংহের সঙ্গে নতুন সংসদ ভবনের সিংহের পার্থক্য কোথায়, ব্যাখ্যা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

অজগর না অ্যানাকোন্ডা? বনকর্তার টুইট করা ভিডিও ঘিরে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া- আপনিও দেখে নিন