সংক্ষিপ্ত

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী হতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা যশবন্ত সিনহা। আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সংসদ পথ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। 
 


রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী হতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা যশবন্ত সিনহা। আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সংসদ পথ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন যশবন্ত সিনহা।  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে তিনি বিজেপি ত্যাগ করেন। নাম লেখান তৃণমূল কংগ্রেসের খাতা। তৃণমূলের হতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। শরদ পাওয়ার গোপাল কৃষ্ণ গান্ধীর মত ব্যক্তিত্বরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রার্থী হতে রাজি না হওয়ার যশবন্ত সিনহাই বিরোধীদের মুখ রক্ষা করছেন। আগামী ২৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। 

বিরোধীদের প্রার্থী হিসেব যশবন্ত সিনহার নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মোদী সরকারকে টক্কর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীরা। আর সেই জন্যই যশবন্ত সিনহাকে প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি বিজেপিকেও যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন করার আর্জি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা।   রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন যশবন্ত সিনহা একজন বিরাট মনের মানুষ। আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি সবরকম ভাবে তাঁকে সাহায্য করারও প্রতিশ্রুতি দিয়ছেন। 


 

অন্যদিকে যশবন্ত সিনহাও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে যে সম্মান দেখিয়ে তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন এমন একটা সময় এসেছে, যখন বৃহত্তর জাতীয় উদ্দেশ্যে ও বৃহত্তর বিরোধী ঐক্যের জন্য দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে কাজ করতে হবে। তারজন্য তাঁর দল তাঁকে অনুমতি দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 


এর আগে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার ও জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুলাহকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করার জন্য আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু প্রত্যেকেই আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে বিরোধী ঐক্যের প্রতি সমর্থন জানালেন যশবন্ত সিনহা।