সংক্ষিপ্ত
মায়ানমার থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ ১৯ পুলিশ কর্তার
তাঁরা ভারতে আশ্রয় চাইছেন
মায়ানমার সেনা তাদের ধাওয়া করেছিল বলে খবর
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে সেই দেশে।
মায়ানমার থেকে কমপক্ষে ১৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছেন। তাঁরা সকলেই ভারতে আশ্রয় চাইছেন বলে, বৃহস্পতিবার মিজোরামের এক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে মায়ানমারের এই পুলিশরা সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দুই জেলা - চম্পাই এবং সার্চিপ-এ ঢুকে পড়েন, বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত এই দুই জেলার সঙ্গেই মায়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। সেখানে নেই কাঁটাতাড়ের বেড়াও।
মিজোরাম পুলিশ জানিয়েছে, মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারীরা প্রত্যেকেই নিম্ন স্তরের পুলিশ আধিকারিক। অনুপ্রবেশের সময় তাঁদের পরণে পুলিশের উর্দিরবদলে ছিল সাধারণ নাগরিকদের মতো পোশাক। সঙ্গে কোনও অস্ত্রশস্ত্রও ছিল না। মিজোরাম পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে গোয়েন্দা প্রতিবেদন রয়েছে, আরও বেশ কিছু মানুষ আগামী কয়েকদিনে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে চাইবেন।
জানা গিয়েছে অনুপ্রবেশকারী ১৯ জনের মধ্যে ৩জন, বুধবার বিকেলেই ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকেছিলেন। মায়ানমারের সীমানা থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরের গ্রাম লুঙ্গকাওল-এ তাদের আটক করে ভারতীয় পুলিশ। এদিন একইপথে আরও ১৬জন আসেন। মিজো পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, 'কিছু আদেশ' মানতে অস্বীকার করার পর থেকে মায়ানমারের সেনাবাহিনী তাদের পিছু নিয়েছে। সেনাদের এড়াতেই তাঁরা দেশ থেকে পালিয়েছেন। তবে তাঁরা কী ধরণের আদেশ মানতে অস্বীকার করেছিলেন, তা বিশদে জানায়নি মিজো পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ভারত এবং মিয়ানমারের মধ্যে ১,৬৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারির সেই দেশে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে। তারপর থেকে সীমান্ত এলাকায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেনাদের হাতে। তাদের বেশিরভাগই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারী বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে, মায়ানমার থেকে আসা হাজার হাজার শরণার্থী, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। নয়া সেনা অভ্যুত্থানের পর এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।