সংক্ষিপ্ত
- বেশ কিছুদিন আগে রাজস্থান হাইকোর্টের এক বিচারপতি উৎপটাং মন্তব্য় করেছিলেন
- তিনি বলেছিলনে, মযূর ব্রহ্মচারী, তাই তার চোখের জলেই গর্ভবতী হয় মযূরী
- এবার ইন্দোনেশিয়ার এক স্বাস্থ্য় আধিকারির এমনই এক উৎপটাং মন্তব্য় করেন
- তিনি বলেন, পুরুষদের সঙ্গে সাঁতার কাটলে মহিলা গর্ভবতী হয়ে যেতে পারেন
উৎপটাং সংলাপ তথা প্রলাপের কি অভাব হয় কখনও? আমাদের জাতীয় পাখি ময়ূরকে 'আজীবন ব্রম্ভচারী' বলেছিলেন রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি মহেশচন্দ্র শর্মা। তাহলে ময়ূরের সন্তান হয় কেমন করে? তার উত্তরে বিচারপতি বলেছিলেন, ময়ূরীর চোখের জল পান করে ময়ূরী গর্ভবতী হয়।
ময়ূর ছেড়ে মানুষের প্রজাতি নিয়ে এবার অনেকটা একইরকম মন্তব্য় করে লোক হাসালেন ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের এক আধিকারিক। ইন্দোনেশিয়ার হেলথ, নার্কোটিক্স অ্য়ান্ড অ্য়াডিকটিভি সাবসট্য়ান্সের কমিশনার সিত্তি হিকমাওয়াত্তি সম্প্রতি বলেন, একই সুইমিং পুলে পুরুষদের সঙ্গে সাঁতার কাটলে মহিলারা গর্ভবতী হয়ে যেতে পারেন!
যদিও তার ব্যাখ্য়াও দিয়েছেন তিনি নিজের মতো করে। সাঁতার কাটতে কাটতে যদি পুরুষরা স্বমেহন করে বীর্য ত্য়াগ করে, তাহলে ওই বীর্য মহিলাদের যোনীতে প্রবেশ করতে পারে। আর তা প্রবেশ করলে মহিলারা সহজেই সন্তানসম্ভবা হয়ে যেতে পারেন!
কিন্তু সাঁতার কাটতে কাটতে কেন পুরুষরা কেন স্বমেহন করতে যাবেন?
তারও ব্য়াখ্য়া দিয়েছেন ওই স্বাস্থ্য় আধিকারিক। তাঁর কথায়, মহিলাদের সঙ্গে সাঁতার কাটতে কাটতে পুরুষদের ঠিক কী প্রতিক্রিয়া হয়, তা আমাদের জানা নেই। তাঁর ইঙ্গিত খুব সুস্পষ্ট। মহিলাদের সঙ্গে সাঁতার কাটতে গেলে পুরুষরা যৌনভাবে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তাই তার স্বমেহন ও বীর্যস্খলন। চমৎকার যুক্তি।
যদিও এই মন্তব্য়ের পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন হিকমাওয়াত্তি। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এর প্রতিবাদ করেন। চাপের মুখে ঢোক গিলতে বাধ্য় হন ওই স্বাস্থ্য় আধিকারিক। নিজের বক্তব্য় প্রত্য়াহার করে ক্ষমাও চেয়ে নেন হিকমাওয়াত্তি। কী ভারত, কী ইন্দোনেশিয়া, উৎপটাং সংলাপ তথা প্রলাপ চলছে চলবে।