সংক্ষিপ্ত
নোবেল জিতলেন দুই মার্কিন অর্থনীতিবিদ
মিলাম সংক্রান্ত কাজের স্বীকৃতি পেলেন
পণ্য-পরিষেবাদি নিলামের সম্পূর্ণ নতুন কাঠামো আবিষ্কার করেছেন তাঁরা
উপকৃত গোটা বিশ্বের ক্রেতা-বিক্রেতা এবং করদাতারা
গত বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরষ্কার ঘোষণার দিন গর্বে ভরে গিয়েছিল বাঙালির বুক। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরের বছর নোবেল অর্থনীতি পুরস্কার পেলেন দুই মার্কিন অর্থনীতিবিদ ৭২ বছরের পল মিলগ্রোম এবং ৮৩ বছরের রবার্ট উইলসন। বাণিজ্যিক নিলাম নিয়ে তাঁদের কাজের জন্যই এই স্বীকৃতি দেওয়া হল বলে জানিয়েছে নোবেল কমিটি।
নোবেল জুরি কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'নিলাম তত্ত্বের উন্নয়ন এবং নিলামের নতুন কাঠামো আবিষ্কারের জন্য এই দুইজনকে সম্মানিত করা হয়েছে'। নোবেল জুরি কমিটি জানিয়েছে, এই বছর অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীরা কীভাবে নিলাম কাজ করে এবং দরদাতারা কেন একটি নির্দিষ্ট ধরণ মেনে আচরণ করেন তা ব্যাখ্যা করেছেন। সেইসঙ্গে তাদের তাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলি ব্যবহার করে পণ্য ও পরিষেবাদির বিক্রয়ের জন্য নিলামের সম্পূর্ণ নতুন একটি ফর্ম্যাট বা কাঠামো আবিষ্কার করেছেন। যার ফলে সারা বিশ্বের ক্রেতা-বিক্রেতা এবং করদাতারা উপকৃত হয়েছেন।
নোবেল অর্থনীতি পুরস্কার অর্থনীতির জগতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হলেও, অন্যান্য নোবেল পুরস্কারের সঙ্গে সমান মর্যাদা একে দিতে চান না অনেকেই। কারণ স্যার আলফ্রেড নোবেল যে যে বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন, তার মধ্যে ছিল চিকিত্সা বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য এবং শান্তি, অর্থনীতি ছিল না। পরবর্তীকালে সুইডিশ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের অনুদানে এই পুরস্কার চালু করা হয়েছিল। তাই অনেকেই একে ফলস নোবেল বা 'ভুয়ো নোবেল' বলে থাকেন। অভিহিত করেছে। বিজয়ীরা পান ১০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার বা প্রায় ১.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গত বছর দারিদ্র্য বিমোচনে পরীক্ষামূলক কাজ করার জন্য ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ফরাসি-মার্কিন স্ত্রী এস্তার ডাফলো এবং মার্কিন নাগরিক মাইকেল ক্রেমার এই সম্মান পেয়েছিলেন।