সংক্ষিপ্ত
যে ব্যক্তি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, সে একজন প্রাক্তন পুলিশকর্মী। গুলি চালানোর পাশাপাশি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েওছে ওই আততায়ী।
শিশুদের ক্রেশে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল এক বন্দুকবাজ। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্ব প্রদেশে ঘটে গেছে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা। ভারতীয় সময় দুপুর দেড়টা নাগাদ ওই ক্রেশের ভেতর ঢুকে পড়ে এক দুষ্কৃতী। হামলায় জখম হয়েছেন বহু মানুষ। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ছোট শিশু ও দেখাশোনার লোকজন মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
থাইল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, যে ব্যক্তি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, সে একজন প্রাক্তন পুলিশকর্মী। গুলি চালানোর পাশাপাশি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েওছে ওই আততায়ী। থাইল্যান্ড সরকারের মুখপাত্রের কড়া নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ঘটনা ঘটার বহুক্ষণ পর পর্যন্ত তাকে ধরা যায়নি। এরপর জানা যায় ওই প্রাক্তন পুলিশকর্মী নিজেই আত্মঘাতী হয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গেছে, থাইল্যান্ডে মানুষের হাতে অস্ত্র খুব-একটা ‘অবৈধ’ নয়। কারণ, এখানে বন্দুকের লাইসেন্স পাওয়া খুব সহজ। তাই অনেকেই আত্মরক্ষার জন্য নিজের কাছে বন্দুক রাখেন। ফলে, গণহত্যার কাণ্ডও এই দেশে বেশ ঘন ঘন ঘটে থাকে। এর আগে, ২০২০ সালে এক অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক একের পর এক গুলি চালিয়ে একসাথে ২৯ জনকে হত্যা করেছিল। তারপর শিশুদের ক্রেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা থাইল্যান্ডে গত ১০০ বছরে সবচেয়ে বড় গণহত্যা বলে দাবি করেছে সংবাদসংস্থা।
থাইল্যান্ডের উত্তরপূর্বে নং বুয়া লম্ফু শহরে হামলা চালানো হয়েছে। সাংবাদিকদের রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ‘প্রি স্কুল চাইল্ড ডে কেয়ার সেন্টার’-এ যে পুলিশকর্মী গুলি চালিয়েছেন, তার গুলি করার কারণ এখনও স্পষ্ট না হলেও, তিনি কিছুদিন আগেই নিজের চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়ে গিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই প্রতিহিংসাবশত এই হত্যা কিনা, তা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। আপাতত, নং বুয়া লম্ফু শহরের মানুষের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-
দুর্গাপুজোর ভাসানও হবে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই? জেনে নিন আবহাওয়া দফতরের সাম্প্রতিক রিপোর্ট
রাতের অন্ধকারে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে রক্তাক্ত কেরালা! প্রাণ হারালেন শিক্ষক, স্কুল পড়ুয়া সহ মোট ৯ জন
৬৬ জন গাম্বিয়ান শিশুর মৃত্যু! ভারতে তৈরি সর্দিকাশির সিরাপ নিয়ে এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা