সংক্ষিপ্ত


মাত্র ৯  বছর বয়সেই একাধিক প্রাসাদ, প্রাইভেট জেট, বিলাসবহুল সুপারকারের মালিক নাইজেরিয়ান (Nigerian) কিশোর, মহম্মদ আউয়াল মুস্তাফা (Muhammed Awal Mustapha) ওরফে মোমফা জুনিয়র (Mompha Junior)। তাকেই বলা হয় 'বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার' (world's Youngest Billionaire)।

এক বিলিয়ন বা একশো কোটি মার্কিন ডলার মানে ঠিক কত পরিমাণ অর্থ, এমনকী এক বিলিয়নে কটা শূন্য থাকে, তা ৯ বছর বয়সে জানত না এই প্রতিবেদনের লেখক। সম্ভবত, যারা পাঠক, তারাও ৯ বছর বয়সে এই জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন না। কিন্তু, সবার জীবন তো আর একরকম হয় না। যেমন নাইজেরিয়ান (Nigerian) কিশোর, মহম্মদ আউয়াল মুস্তাফা (Muhammed Awal Mustapha) ওরফে মোমফা জুনিয়র (Mompha Junior)। চরম বিলাসবহুল জীবনযাত্রার কারণে, মাত্র ৯  বছর বয়সেই সে 'বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার' (world's Youngest Billionaire) হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রাসাদ, প্রাইভেট জেট, বিলাসবহুল সুপারকার - কী নেই তার!

শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও, তিন বছর আগে মাত্র ছয় বছর বয়সে, সে তার প্রথম প্রাসাদের মালিক হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ব্রিটিশ পোর্টাল 'দ্য সান'এর রিপোর্ট অনুযায়ী,  মোমফা জুনিয়র বিশ্ব ভ্রমণ করে একটি প্রাইভেট জেটে চড়ে। আর তার গ্যারাজে, ফেরারি, বেন্টলি ফ্লাইং স্পার, রোলস-রয়েস ওয়েথের মতো সুপারকারের ছড়াছড়ি। ৬ বছর বয়সে পাওয়া প্রাসাদটি ছাড়াও, তার আরও বেশ কয়েকটি প্রাসাদ রয়েছে। তাকে প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায়, তাকে তার সুপারকারগুলির পাশে, ভার্সেস বা গুচির মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের স্টাইলিশ এবং ডিজাইনার পোশাক পরে ছবি দিতে দেখা যায়।

কে এই মোমফা জুনিয়র? সে নাইজেরিয়ার লাগোস (Muhammed Awal Mustapha) শহরের বাসিন্দা। মাল্টিমিলিয়নেয়ার নাইজেরিয়ান ইন্টারনেট সেলিব্রিটি ইসমাইলিয়া মুস্তাফা মহম্মদ আউয়াল মুস্তাফার (Ismailia Mustapha Muhammed Awal Mustapha) ছেলে সে। প্রায়শই বাবার ইনস্টাগ্রাম পেজে মোমফা জুনিয়র এবং তার ছোট বোনকে দেখা যায়। মোণফা জুনিয়রের এই বিলাসবহুল জীবনের উৎস যে তার বাবার খ্য়াতি, তা বোঝাই যায়। তবে, সেও তার বাবার মতোই সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার (Social Media Influencer) হওয়ার পথেই এগোচ্ছে। এখনই তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ফলোয়ার্সের সংখ্যা প্রায় ৩০,০০০। এই অ্যাকাউন্টেই এই খুদে বিলিয়নেয়ারের বিলাস বহুল জীবনধারার ছবি দেখা যায়। 

View post on Instagram
 

কোনও ছবিতে দেখা যায় সে একটি প্রাইভেট জেটের ভেতরে বসে খাবার খাচ্ছে। কোনও ছবিতে দেখা যায় তার গাড়ির সংগ্রহ। ছবিগুলোর ক্যাপশনে কোথাও লেখা থাকে 'হ্যাপি বার্থডে টু মি', অর্থাৎ সে নিজেই নিজের নিজেকে জন্মদিনে উপহার দিয়েছে। কোথাও বলা থাকে 'থ্যাঙ্কস ড্যাডি', অর্থাৎ সেই উপহার সে তার বাবার কাছ থেকে পেয়েছে। তবে, একাধীক প্রাসাদ এবং সুপারকারের মালিক হওয়া সত্ত্বেও, মোমফা জুনিয়রের সবথেকে পছন্দের হল, তার প্রথম প্রাসাদটি। দ্য সান-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৮ সালে তার ষষ্ঠ জন্মদিনের দিন, মোমফা জুনিয়রকে এই ম্যানশন কিনে দিয়েছিলেন তার বাবা, মোমফা সিনিয়র।

View post on Instagram
 

মোমফা জুনিয়রকে প্রাসাদটি উপহার দিয়ে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বাবা লিখেছিলেন, নিজের বাড়ির মালিক হওয়া, জীবনের সেরা অনুভূতিগুলির মধ্যে একটি। এই অনুভূতিকে ভাষায় বর্ণনা করা যায় না বা অর্থ দিয়ে এর পরিমাপ করা যায় না। বাড়ির মালিকানা এমন একটি অনুভূতি যা, প্রতিদিনের জীবনে দুঃখ-কষ্টের মুখোমুখি হওয়াকে অর্থবহ করে তোলে। এই অনুভূতি একজনকে আশ্বস্ত করে যে, সমস্ত উত্থান-পতনের পরেও তার যাওয়ার একটা জায়গা আছে। এমন একটা জায়গা, যা তাকে কখনই বিচার করবে না এবং সবসময় দুই হাত খুলে আমন্ত্রণ জানাবে। তার নতুন বাড়িতে আমার ছেলেকে অভিনন্দন। বাবার কাছ থেকে তোমার জন্মদিনের উপহার।