সংক্ষিপ্ত
- বিকিনি পরায় এক্কেবারে গ্রেফতার
- ফিলিপিন্সের ঘটনায় চোক কপালে
- পরে অর্থ জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়
- বিদেশি পর্যটক ছিলেন ওই তরুণী
ঘুরতে গিয়ে আমাদের প্রত্য়েককেই কোনও না কোনও ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কারও ক্ষেত্রে সেটা আনন্দদায়ক আবার কারও কারও ক্ষেত্রে সেটা অত্য়ন্ত দুঃখজনক। ঠিক সেরকমই একটা ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানের পর্যটক বছর ২৬-এর লিন তজু টিং এর সঙ্গে।
বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ছুটি কাটাতে ফিলিপিন্সে এসেছিলেন লিন। কিন্তু সাধের ঘোরায় বাধা হয়ে দাঁড়াল তার পোশাক। কারণটা শুনলে চমকে যাবেন, বিকিনি পরার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। বোরাকে দ্বীপের পুকা বিচে বেড়াতে যাওয়ার জন্য় একটি হালকা সাদা রঙের সুতোর মতো বিকিনি পরেছিলেন লিন। বিচে যাবার পরেই গোটা বিচের লোকজন তাঁর দিকে অদ্ভুত ভঙ্গিতে তাকিয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে একান্ত মুহূর্তের ছবি মুহূর্তের মধ্য়ে ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। তা বুঝতেও পারেননি লিন। আর তারপরই তা বোরাকো আন্তঃ-সংস্থা পুনর্বাসন ম্য়ানেজমেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এই এজেন্সির নির্দেশেই লিনকে হোটেল থেকে গ্রেফতার করে ফিলিপিন্স পুলিশ।
গ্রেপ্তার করার পর হোটেল প্রতিনিধি তাদের দুজনকে থানায় নিয়ে যায়। মালয় শহরের পুলিশ প্রধান মেজর জেস বেলনকে লিন জানিয়েছেন, তাঁর পোশাকে কোনও খারাপ কিছু খুঁজে পাননি তিনি বরং তাঁর এই পোশাকেই তিনি অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য় বোধ করছিলেন। লিনের সঙ্গে কোনওমতেই একমত হতে পারেননি মেজর। তিনি আরও জানিয়েছেন,এখানকার রক্ষণশীল সংস্কৃতিতে এটা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। এখানেই শেষ নয়, তাঁকে মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল এবং নিজের স্বাচ্ছন্দ্য় বজায় রাখতে দ্বীপ ছাড়ার আগে সেই টাকা দিতে তাঁকে বাধ্য় করা হয়েছিল।
রিপোর্টে জানা গিয়েছে, অশ্লীল পোশাক পরার কোনও আইন না থাকলেও আইন ভাঙার অধিকার কারওর নেই। বিশেষত, বিদেশি পর্যটকদের বেড়াতে আসার আগে সেখানকার সংস্কৃতি জেনে সেই মতোই সাজসজ্জা করা উচিত। তাহলে দেখলেন তো আপনার অজান্তেই কোন বিপদ কখন চলে আসবে আপনি বুঝতেও পারবেন না। যারা যারা ছুটি কাটানোর প্ল্য়ান করছেন তারা একটু সেই জায়গা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকুন।