সংক্ষিপ্ত
পঞ্জশিরের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৬০০ জনেরও বেশি তালিবান যোদ্ধাকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। এক হাজারেরও বেশি তালেবান জঙ্গি ধরা পড়েছে বা আত্মসমর্পণ করেছে প্রতিরোধ বাহিনীর কাছে।
আফগান্তিস্তানের (Afghanistan) উত্তর পূর্বের ছোট্ট প্রদেশ পঞ্জশির (Panjshir) মাথা নোয়াবে না। লড়ে যাচ্ছে আফগান প্রতিরোধ বাহিনী (Afghan resistance forces)। এখন পঞ্জশির দখলে না আনতে পারা তালিবানদের কাছে গলার কাঁটা এই প্রদেশ। এবার সামনে এল নয়া তথ্য। আফগান প্রতিরোধ বাহিনীর দাবি তাদের হাতে খতম হয়েছে কমপক্ষে ৬০০জন তালিবান যোদ্ধা (600 Taliban fighters)।
প্রতিরোধ বাহিনীর মুখপাত্র ফাহিম দাস্তি টুইট করেছেন পঞ্জশিরের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৬০০ জনেরও বেশি তালিবান যোদ্ধাকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। এক হাজারেরও বেশি তালেবান জঙ্গি ধরা পড়েছে বা আত্মসমর্পণ করেছে প্রতিরোধ বাহিনীর কাছে। এদিকে, স্পুটনিক নিউজ নিজেদের প্রতিবেদনে লিখেছে পঞ্জশির দখলের সবচেয়ে বড় সমস্যা অন্যান্য প্রদেশ থেকে সাহায্য না পাওয়া। ফলে পঞ্জশির এখন তালিবানদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রাক্তন আফগান গেরিলা কমান্ডার আহমদ শাহ মাসুদের পুত্র আহমদ মাসউদের নেতৃত্বে লড়াই চলছে পঞ্জশিরে। এছাড়াও রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ। এঁদেরই নেতৃত্বে আফগানিস্তানের ন্যাশনাল রেজিস্টেন্স ফ্রন্টের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে পঞ্জশির। ৩১শে অগাষ্ট মার্কিন সেনাদের চূড়ান্ত প্রত্যাহারের আগেই তালিবানরা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান শাসন করার সময়ও এই উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে পারেনি তালিবান।
যদিও উভয় পক্ষই পঞ্জশিরের ওপর দখলদারির দাবি করেছে কিন্তু কেউই তা প্রমাণ করার জন্য কোন চূড়ান্ত তথ্য দিতে পারেনি। আল জাজিরা জানিয়েছে একজন তালিবান নেতা বলেছেন যে পঞ্জশিরে যুদ্ধ চলছে। কিন্তু রাজধানী বাজারক এবং প্রাদেশিক গভর্নরের অফিস চত্ত্বরে রাখা ল্যান্ডমাইন সেই যুদ্ধকে তালিবানদের জন্য কঠিন পরিস্থিতির তৈরি করছে। তালেবান মুখপাত্র বিলাল করিমী বলেন, খিনজ ও উনাবাহ জেলাকে দখল করা হয়েছে, যার ফলে তালিবান বাহিনীকে প্রদেশের সাতটি জেলার চারটির দখল দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, কাবুল দখলের ২০ দিনের মাথাতেও তালিবানরা আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠন করতে পারল না। বারবারই সরকার ঘোষণার দিন ও সময় সীমা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার জানান হয়েছিল শনিবার সরকার গঠন নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে। কিন্তু শনিবার তালিবান মুখমাত্র জাবিউল্লাহ জানিয়েছেন, চূড়ান্ত ঘোষণা আবারও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।