সংক্ষিপ্ত

কারগরের দাবি তিনি রাজনৈতিক শরনার্থী হিসেবে ভারতে আসেননি। চিকিৎসার জন্য এদেশে এসেছিলেন।

দু ঘন্টা ধরে দিল্লি বিমানবন্দরে (Indira Gandhi International Airport) অপেক্ষা করেছিলেন তিনি। ছিল বৈধ পরিচয় পত্রও। তবু দেশের ভিতরে তাঁকে ঢুকতে দেয়নি ভারত। এমনই অভিযোগ ছিল আফগানিস্তান পার্লামেন্টের সদস্য (Afghan Woman MP) রঙ্গিনা কারগরের (Rangina Kargar)। তিনি জানিয়ে ছিলেন অভব্য আচরণ করা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। শুক্রবার সেই সাংসদ ফের ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন। 

এদিন কারগর বলেছেন, ভারত শুধু আফগানিস্তানের হিন্দুদের আশ্রয় দিচ্ছে। মুসলিমদের নয়। যেহেতু তিনি একজন মুসলিম, তাই তিনি ভারতে আশ্রয় পেলেন না। এমনই অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন দিল্লি বিমানবন্দর থেকে পরে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়। ওই একই বিমানে দুবাই হয়ে ইস্তানবুল ফিরে যান রঙ্গিনা। অথচ কারগরের দাবি তাঁর কাছে সরকারি ও বিশেষ কূটনৈতিক পাসপোর্ট রয়েছে, যা ভারতের সঙ্গে ভিসা মুক্ত ভ্রমণের সুবিধা দেয়। 

দুর্গাপুজোর সময় জ্বালাবে না লোডশেডিং, কী ব্যবস্থা করছে রাজ্য, জানালেন অরূপ বিশ্বাস

Bank Holidays in September : সেপ্টেম্বর মাসে কোন কোন দিনে বন্ধ ব্যাঙ্ক, দেখে নিন তালিকা

কারগরের দাবি তিনি রাজনৈতিক শরনার্থী হিসেবে ভারতে আসেননি। চিকিৎসার জন্য এদেশে এসেছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হল না। দিল্লি বিমানবন্দরে বিশে অগাষ্ট রাত ১০টা নাগাদ এসে পৌঁছন তিনি। পরেরদিন ভোর ছটা পর্যন্ত তাঁকে বসিয়ে রাখা হয়। তাঁর অভিযোগ, খাবার, জল, কিছুই পাননি তিনি।

পরে অবশ্য গোটা বিষয়টির জন্য ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়। মন্ত্রকের পাকিস্তান - ইরান - আফগানিস্তান বিভাগের যুগ্ম সচিব জে পি সিং তাঁকে ফোন করেন ও ক্ষমা চান। 

কারগর আফগান সংসদে ফারিয়াব প্রদেশের প্রতিনিধি। তিনি একজন তুর্কমেন, যিনি ১৯৮৫ সালে মাজার-ই-শরীফে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, এবং কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন এবং নিজেকে একজন নারী অধিকার কর্মী হিসেবে বর্ণনা করেন।