সংক্ষিপ্ত
তালিবানদের সঙ্গে ইসলামিক স্টেট খোরাসানের যোগ রয়েছে বলে সওয়াল করলেন আমরুল্লাহ। একই সঙ্গে নিশানা করেন পাকিস্তানকেও।
কাবুল বিমান বন্দরে জোড়া বিস্ফোরণ নিয়ে এবার মুখ খুললেন আফগানিস্তানের স্বঘোষিত উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ। গোটা বিষয়টির জন্য তিনি সরাসরি পাকিস্তান, তালিবান, ইসলামিক স্টেট আর হাক্কানি নেটওয়ার্ককেই দায়ি করেছেন। কাবুল বিমান বন্দরে বিস্ফোরণ নিয়ে তালিবানরা দায়ে এড়িয়ে গেছে। পাশাপাশি জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় গাত রয়েছে, ইসমালি স্টেট খোরাসানের সদস্যদের। পাশাপাশি আমেরিকাসহ ন্যাটোর দেশগুলিকেও নিশানা করেছে তালিবান শীর্ষ নেতৃত্ব। বলা হয়েছে বিদেশি সেনা উপস্থিত থাকার জন্যই এজাতীয় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
কাবুল বিমান বন্দরে হামলার ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন, তিনি বলেছেন তালিবানরা তাদের প্রভু পাকিস্তানের কাছ থেকে শেখেছে কী করে কোনও সম্পর্ককে অস্বীকার করতে হয়। পাকিস্তানের নির্দেশেই থেকে ইসলামিক স্টেট খোরাসানের সঙ্গে তাদের যে সম্পর্ক রয়েছে তা অস্বীকার করেছে তালিবানরা। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন তাঁর হাতে একাধিক প্রমাণ রয়েছে- তা থেকে তিনি প্রমাণ করে দিতে পারেন তালিবান-ইসলামিক স্টেট খোরাসান-হাক্কানি নেটওয়ার্কের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
আমরুল্লাহ আরও বলেছেন তালিবানরা কোয়েটের শুরায় যেভাবে পাকিস্তান তালিবানদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অস্বীকার করেছিল। তালিবানরা বর্তমানে ইসলামিক স্টেট খোরাসানের সঙ্গে তাদের যে যোগাযোগ রয়েছে তা অস্বীকার করেছে। পাকিস্তান তালিবানদের প্রভু। প্রভুর কাছে থেকে খুব ভালো করে প্রশিক্ষণ পেয়েছে তালিবানরা। কটাক্ষ করে এমনটাও বলেছেন আমরুল্লাহ।
COVID 19: করোনা যুদ্ধে নতুন মোড়, টিকার দৌড়ে পা রাখল মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স
Horrific Video: পাগলপারা নদীর জলে ভেঙে গেল পাকা ব্রিজ, প্রাণ হাতে ছুটছেন চালক
এটাই প্রথম নয়, এর আগেও তালিবান ইস্যুকে পাকিস্তানকে নিশানা করেছিলেন আমরুল্লাহ। তিনি বলেছিলেন পাকিস্তান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তালিবানদের মদত দিচ্ছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তালিবানদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বলা হয়েছিল পাক সেনা তালিবান যোদ্ধাদের মদত দেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান গোটা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিল এটি সংবাদপত্রের শিরোনাম ছাড়া আর কিছুই নয়।
আমরুল্লাহ সালেহ একটা সময় আফগান গোয়েন্দাবিভাগের প্রধান ছিলেন। নিজের পুরনো পেশার কথা মাঝেমাঝেই উত্থাপন করেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কাবুল বিমান বন্দরে বিস্ফোরণের জন্য তালিবান, হাক্কানি নেটওয়ার্ক আর ইসলামিক স্টেট খোরাসানের যোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠেছিল কাবুল। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে।