সংক্ষিপ্ত
পঞ্জশিরের রাজধানীর দখল নিয়েছে তালিবানরা। তেমবই দাবি করেছেন তালিবান মুখপাত্র। অন্যদিকে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি পঞ্জশিরের যোদ্ধারা।
রবিবার তালিবানরা জানিয়েছে তাদের বাহিনী পঞ্জশির উপত্যকার প্রাদেশিক রাজধানীতে প্রবেশ করেছে। আফগানিস্তানের নর্দান অ্যালায়েন্সের সঙ্গে যুদ্ধের প্রায় শেষ পর্যায়ের রয়েছে তারা। তবে এখনও পর্যন্ত আফগান ন্যাশানাল রেজিস্টেন্স ফ্রন্টের পক্ষ থেকে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও আগেই পঞ্জশিরের বাহিনী জানিয়েছেন কোনও রকম বিভ্রান্তিমূলক প্রচারে মানুষ যেন পা না দেয়। তারা তালিবান বাহিনীকে প্রতিহত করার সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
রবিবার বিকেলের দিকে তালিবান বাহিনী বিলাল করিমি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, পঞ্জশির উপত্যাকার রাজধানী বাজারক সংলগ্ন রুখাহে পুলিশের সদর দফতর ও জেলা কার্যালয় তলিবান যোদ্ধারা দখল করে নিয়েছে। প্রচুর মানুষকে বন্দি করা হয়েছে। গাড়ি আর গোলাবারুদও উদ্ধার করেছে। প্রচুর মানুষের প্রাণ গেছে বলেও জানিয়েছেন তালিবান মুখপাত্র। তবে বাজারকে এখনও পর্যন্ত লড়াই চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পঞ্জশির ইস্যুতে একই ধরনের টুইট করেছেন আরও বেশ কয়েক জন তালিবান নেতা।
যদিও রবিবার আফগান ন্যাশানাল ফ্রন্টের মুখপাত্র ফাহিম দাস্তি বলেছিলেন, পঞ্জশিরের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে পরিয়ান জেলা তালিবানদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পেরেছে তারা। তালিবান, পাকিস্তানিসেনাসহ প্রায় ১ হাজার বিদেশিকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু দাস্তির এই মতের সমর্থনে কোনও মন্তব্য আর কেউ করেনি। তাই দাস্তু এই টুইট বার্তা কতটা সত্যি তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও শনিবার থেকেই তালিবানরা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে তারা পঞ্জশির দখলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আর সেই কারণেই গুলি ছুঁড়ে জয় উদযাপন করেছিল। তাতে কমপক্ষে ১৭ সাধারণ আফগানবাসীর মৃত্যু হয়েছিল।
করোনা-মহামারিকালে বদলে গেছে প্রেমের সংজ্ঞা, এখন আর বাইরে নয় নিরাপদে ঘরে বসে প্রেমালাপ নতুন প্রজন্মর
সাবধান, আপনার কোভিড ১৯ টিকা আসল তো, রইল কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিন-স্পিটনিক ভি চেনার সহজ উপায়
ভোটের আগে যোগীর রাজ্যে বিজেপি বিরোধী প্রচার, মহাপঞ্চায়েত থেকে আন্দোলনকারী কৃষকদের হুঁশিয়ারি
পঞ্জশির ছিল একমাত্র প্রদেশ যেখানে তালিবানরা পা রাখতে পারেনি এতদিন। গত তালিবানি আমলেও পঞ্জশির অপ্রতিরদ্ধই থেকে গিয়েছিল। গতবার তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন আহমেদ শাহ মাসুদ। এবার তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর ছেলে আহমেদ মাসুদ। গোটা ঘটনাকেই তিনি আফগানিস্তানের স্বাধীনতার যুদ্ধ বলে বর্ণনা করেছেন। কাবুল দখলের ২১ দিন পরেও তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে রাখতে পেরেছেন তিনি। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে মাসুদের প্রতিরোধের পাঁচিল ভেঙে পড়বে তালিবানদের সামনে।