সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রধানের আফগান সফর নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। গোয়েন্দা প্রধান কথা বলেছেন তালিবানসহ একাধিক নেতার সঙ্গে।
 

আফগানিস্তানের (Afghanistan) নতুন সরকার গঠন নিয়ে তালিবানদের (Taliban)মধ্যে জট অব্যাহত। সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করলেও এখনও পর্যন্ত কোনও রকম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা তারা করতে পারেনি। কাবুল দখলের পর কেটে গেছে প্রায় ২১ দিন। ফাঁকাই পড়ে রয়েছে আফগান মসনদ। এই জটিলতার মধ্যেই পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান (ISI Chief) জেনারেল ফয়েজ হামিদের (Faiz Hameed) কাবুল সফর নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। শনিবারই কাবুলে গেছেন তিনি। 

টোলো নিউজর খবরে বলা হয়েছে তালিবান সরকার গঠন নিয়ে কথাবার্তা বলতেই পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রধান ফয়েজ হামিদ এই সফর। আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন। হেকমতিয়ার প্রথম থেকেই তালিবানদের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে এসেছেন। তালিবানরা সরকার গঠন করলে তিনিও সরকারে অংশ নিতে পারেন বলেও সূত্রের খবর। আফগানিস্তানের একটি নিউজ পোর্টাল জানিয়েছেন জোট সরকার গঠনের পথেই হাঁটছে তালিবানরা। ফয়েজ সেই বিষয় তত্ত্বাবধান করতেই আফগানিস্তান গেছেন। 


 
গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার হিজব-ই-ইসলামি গুলবুদ্দিন পার্টির প্রধান। ১৯৯০ এর দশকে তিনি দুবার আফগান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আফগান রাজনৈতিতে তাঁর প্রভাব যথেষ্ট বেশি। সরকার গঠন নিয়ে তালিবানদের বৈঠকেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। একটি সূত্র বলছে তালিবানরাই ফয়েজ হামিদকে আফগানিস্তানে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই সফর। পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও গোয়েন্দা প্রধান আলোচনা করেবে বলেও সূত্রের খবর। তিনি তালিবান কমান্ডারদের সঙ্গেও আলোচনা করতে পারেন। 

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহের পর বড় ঘোষণা, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলার নথি প্রকাশের নির্দেশ বাইডেনের

অন্য একটি সূত্র বলছে তালিবানদের সঙ্গে হাক্কানি গোষ্ঠীগুলির বিবাদ ক্রমশই প্রকট হচ্ছে। আর সেই সমশ্যা মধ্যস্থতার জন্যই পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রধানকে ডেকে পাঠান হয়েছিল। হাক্কানি ও তাদের সমর্থিত গোষ্ঠীগুলি হিবাতুল্লাহকে সরকারের প্রধান হিসেবে মানতে এখনও রাজি হচ্ছে না। অথচ তালিবানরা ধর্মগুরু তথা দলের সুপ্রিমোকেই মাথা করে সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল। পাকিস্তানের একটি সূত্র বলছে গোয়েন্দা প্রধানের যেকোনও সফরই সচারচর প্রকাশ্যে আনা হয় না। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি। 

ভোটের আগে যোগীর রাজ্যে বিজেপি বিরোধী প্রচার, মহাপঞ্চায়েত থেকে আন্দোলনকারী কৃষকদের হুঁশিয়ারি

সাবধান, আপনার কোভিড ১৯ টিকা আসল তো, রইল কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিন-স্পিটনিক ভি চেনার সহজ উপায়

ফয়েজ হামিদ, ইমরান খানের বিশেষ অনুগত বলেই পাকিস্তান সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। ইমরান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল ফয়েজের। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের আগেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দাবি করেছিলেন, ফজেয় ইমরানের পিটিআইটে যোগ দিতে বাধ্য করছিলেন কয়েক জন রাজনীতিবিদকে। ফয়েজের আগে পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রধান ছিলেন অসীম মুনির। কিন্তু মাত্র ৮ মাসের মধ্যেই তাঁকে ছেঁটে ফেলে দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়ে ফয়েজকে। যা নিয়ে পাক রাজনৈতিতে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ইমরান খানকে। একটি সূত্র দাবি করছেন তালিবানদের একাধিক গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে ফয়েজের সুসম্পর্ক রয়েছে। আর তা কাজে লাগিয়ে দ্রুত সরকার গঠনের ব্যবস্থা করতেই পাক গোয়েন্দা প্রধানের এই সফর।  

YouTube video player